কাঁচা রসুনের উপকারিতা,রসুন খেলে কি শুক্রানু বাড়ে ,রসুন খাওয়ার নিয়ম!
রসুন একটি জনপ্রিয় মসলা হিসেবে পরিচিত। বাঙ্গালীদের প্রতিদিনের খাবারের মেনুতে কমবেশি রসুন ব্যবহার করা হয়। তবে রসুন শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না এর সাথে রয়েছে রসুনের একাধিক উপকারিতা। প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে রসুন সম্পর্কে বিভিন্ন গুনাগুন বর্ণিত রয়েছে। আমাদের আজকের পোষ্টে জেনে নিন শুক্রাণু বাড়াতে রসুন কিভাবে কাজ করে থাকে।
শুক্রাণু বাড়াতে রসুনের কার্যকারিতা
রসুনের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যালিসিন এবং সেলেনিয়াম এর মত উপাদান। আর আমরা তো সবাই জানি অ্যালিসিন যৌনাঙ্গের রক্তপ্রবাহ উন্নত করে এবং শুক্রাণু কোন ক্ষতি থেকে প্রতিরোধ করে থাকে। সেইসাথে সেলেনিয়াম হলো এমন একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা শরীরে গতিশীলতা বৃদ্ধি করে। যে কারণে পুরুষের জন্য একটি বিশেষ উপকারী।
রসুনের উপকারিতা
চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি রিপোর্ট অনুসারে রসুনে থাকা নানা উপাদান পুরুষদের ক্ষেত্রে বিশেষ দরকারি। এটি ফার্টিলিটির সমস্যা ঠিক রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। সেইসাথে এটি শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি করে এবং শরীরে পর্যাপ্ত পরিমানে শুক্রাণু তৈরি করে। তাই আপনার যদি শরীরে শুক্রাণু ঘাটতি থাকে অথবা পুরুষদের যৌন সমস্যায় এটি ওষুধের মতো কাজ করে থাকে ।
(১) সিদ্ধ রসুনের উপকারিতা
রসুনে কোলেস্টেরল এবং এলডিএলের মাত্রা 10 থেকে 15 শতাংশ কমিয়ে আনতে পারে। এছাড়াও রসুন খাওয়ার ফলে আপনার এইচডিএল বা শরীরের ভালো কোলেস্টেরল এর উপর কোন প্রকার প্রভাব পড়ে না। তাই যারা এ ধরনের সমস্যায় ভুগছেন তারা অবশ্যই ডায়েটে বেশি করে রসুন খেতে পারেন।
এছাড়াও রসুনের রয়েছে থায়ামিন, ভিটামিন বি অন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন b2, ভিটামিন বি 5, ভিটামিন বি নাইন ও সেলেনিয়াম। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। সেলেনিয়াম ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে থাকে। এটি শরীরের ক্যান্সার প্রতিরোধে এন্টিবডি তৈরি করে থাকে। এছাড়াও রসুনের থাকা এনিথিং নামে এক জরুরী গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সারসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে।
আরো পড়ুন আপেল সাইডার ভিনেগার এর বিশেষত্ব
(২) মধু ও রসুন এর উপকারিত
রসুনে থাকায় এলিসিন নামের যে কম্পাউন্ড পাওয়া যায় এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত দরকারি একটি উপাদান। যে কারণে রসুনকে সুপার ফুড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। প্রাচীন ইতিহাস অথবা আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অধ্যায়ন করলে দেখা যাবে তখনকার মানুষ রসুন দিয়ে বিভিন্ন রোগ নিরাময় ওষুধ তৈরি করত। বিশেষ করে মিসরীয়, ব্যাবিলনিয়, গ্রিক, রোমান সভ্যতায় এর উল্লেখ আছে ।
(৩) রসুন ও ঘি
হৃদপিন্ডের শক্তিবর্ধক হিসেবেও কাজ করে এই রসুন। বিশেষ করে যারা হৃদপিন্ডের ছোটখাটো সমস্যা নিয়ে বিব্রত আছেন মাঝেমধ্যে বুকের বাম পাশে ব্যথা অনুভূত হয়, অথবা সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে গেলে বুকে ব্যথা করে। তাদের জন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া রসুন পানি দিয়ে গিলে খেয়ে ফেলতে হবে। এতে করে হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে এবং এটি আরো শক্তিশালী হবে। এবং রক্তসঞ্চালন সঠিক ভাবে বৃদ্ধির কারণে হৃদপিন্ডের ব্লগগুলো আর বাড়বেনা। যে কারণে রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি হবে না ।(৪) সকালে খালি পেটে কাচা রসুন খেলে কি বীর্যে শুক্রানু বাড়ে
শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে রসুন বিশেষ ভাবে কাজ করে থাকে। শরীরে যখন এলডিএল বেড়ে যায় তখন উচ্চরক্তচাপের সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন সকালে খালি পেটে নিয়মিত খেতে হবে। তাহলে আপনার এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন । এছাড়াও আরও বহুবিধ উপকারিতা রয়েছে রসুনের। এজন্য শরীরকে সুস্থ ও সতেজ এবং শুক্রাণুর সমস্যা সমাধানে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন রাখতে পারেন।
বন্ধুরা আমাদের আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই । আশা করি রসুনের উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন। লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এতক্ষণ কষ্ট করে লেখা টি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।