শসা খাওয়ার কিছু উপকারিতা ও ফ্যাট কমায় শসা |

 

 জে‌নেনিন শসার কিছু অজানা উপকা‌রিতা! 



শশা আমা‌দের সবার প‌রি‌চিত একটা খাবার। এ‌টি‌কে ফল হিসা‌বে ও খাওয়া  যায়, আবার রান্না ক‌রেও খাওয়া যায়। বাংলাদেশের সব জায়গাতেই এটি পাওয়া। শসা যদিও বর্ষার মৌসুমে বেশি জন্মে, তবুও সারা বছরই এটা হাটে বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। শসা খেতে যেমনই সুস্বাদু তেমনি রয়েছে এর হাজারো পুষ্টিগুণ। শসা কে বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। কাঁচা অবস্থায় ফল হিসেবে খাওয়া হয়। রান্না করে খাওয়া হয়, আবার বিভিন্ন সালাদ তৈরি করতে এই শসা ব্যবহার করা হয়।

আজকে আমাদের এই প্রতিবেদনটি শশা সম্পর্কে। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা শশা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানব!

শসা একটি উপকারী খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার। যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী পুষ্টি উপাদান। এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং বেশিরভাগ রোগের ক্ষেত্রে রোগীরা শসা খেতে পারেন। তার কারণ হলো শসা একদিকে যেমন খাদ্য হিসেবে খাওয়া হয়, অন্যদিকে এতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। শুধু খাবারের জন্য নয় রূপচর্চার ক্ষেত্রেও শসার অবদান অপরিসীম। এবং শরীরকে ফিজিক্যালি ঠিক রাখতে শসা খাওয়া উচিত নিয়মিত।

চলুন জেনে নিই শসা কেন খাবেন?

শরীরে জলের ঘাটতি পড়লে আপনি শসা খেতে পারেন। কারণ একটি শসার প্রায় 95 ভাগে জল। সুতরাং শসার আপনার শরীরের পানি সল্পতা দূর করবে এবং আপনাকে দুর্বল কাটিয়ে দ্রুত সতেজ করে তুলবে। অতিরিক্ত গরমে বা যেখানে পানীয় জলের সংকট সেখানে আপনি পানির পরিবর্তে শসা খেয়ে শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করতে পারেন।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এই শশা!

শসা তে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম ,সিলিকা, পটাশিয়াম, জাতীয় পদার্থ ।এগুলি শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ ও সবল প্রদান করে।  শসার এই উপাদান গুলো শরীরের উচ্চ রক্তচাপ এবং নিম্ন রক্তচাপ দুটোকেই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।  সেই সাথে হার্ট ও ফুসফুসের যত্ন নেয়। সুতরাং যাদের ব্লাড প্রেসার আছে বা যাদের ফুসফুসে বা হার্টের সমস্যা আছে তারা অনায়াসে এই শসা খেতে পারেন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় তাদের শসা রাখা উচিত।

ফ্যাট কমায় শসা!

শসা শরীরের চর্বি জমতে দেয় না। অতিরিক্ত ফ্যাট অথবা চর্বি জল করে বের করে দেয় শরীর থেকে ।এতে উচ্চমাত্রায় জল থাকে, ক্যালোরিও থাকে যে কারণে শরীরের ওজন কমাতে এটি একটি আদর্শ খাবার হিসেবে পরিচিত। যাদের অতিরিক্ত মাত্রায় ফ্যাট থাকে ডাক্তাররা তাদেরকেও বেশি করে শসা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করে!

যাদের হজম শক্তিতে সমস্যা আছে অথবা পেটে গ্যাস্ট্রিক এসিডিটি এর সমস্যা আছে তারা বেশি করে শসা খেতে পারেন। বিশেষ করে কাঁচা শশা চিবিয়ে খেলে ভালো হজম হয়। রেপসিন নামক এনজাইমের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিষ্ট থাকলেও তা উপশম হয়। তাছাড়া আলসার গ্যাস্ট্রাইটিস এসিডিটির ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

রূপচর্চায় শসার ব্যবহার!

স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে যেমন শশা গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি রূপচর্চার ক্ষেত্রে শসার অবদান অপরিসীম। বিশেষ করে চোখের কোন সমস্যা হলে অথবা শরীরে ত্বকে কোন সমস্যা হলে আপনি এই শসা ব্যবহার করতে পারেন। শসা গোল করে কেটে চোখের পাতার উপর রাখলে যেমন চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা অপসারিত হয়, তেমনি চোখের জ্যোতিও অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলে । এমনকি প্রধাহ প্রতিরোধ করে থাকে শসা এবং ভবিষ্যতে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

চুল ও নখের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে শসা। শসায় থাকা খনিজ চুল সতেজ ও শক্তিশালী করে। তাছাড়া চুল বৃদ্ধিতেও এটি বিশেষ সহায়তা করে থাকে। শসার ভিতরে থাকা সালফার ও সিলিকা চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।

এছাড়াও অনেকের আছে সকালে ঘুম থেকে উঠলেই প্রচন্ড পরিমাণে মাথা ব্যথা করে। তো এই সমস্যা যাদের আছে তাদের ক্ষেত্রে শসা একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ খাবার। কারণ শসার ভিতরে থাকা ভিটামিন বি ও সুগার এর অভাবেই মূলত ব্যথা টি হয়ে থাকে। সুতরাং ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে কয়েক টুকরা শসা খেয়ে ঘুমালে তাহলে আর এই সমস্যাটি হবে না তাছাড়া আপনার ঘুম অনেক ভালো হবে।

আরো পড়ুন

তো বন্ধুরা আমাদের আজকের এই পোস্টটি এই পর্যন্তই। আশা করি সবার ভালো লাগছে।লেখাটি কষ্ট করে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। কথা হবে আগামী পোস্টে। এটি পড়ে কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। 

ধন্যবাদ সবাইকে


Post a Comment

Previous Post Next Post