শরীর ঠিক রাখার জন্য এই ১১ ধরনের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুব উপকারী

 

Free Fire Max redeem codes today


1. FF78-9ABC-DEFG
2. FFHI-JKLM-NOPQ
3. FFRS-TUVW-XYZA
4. FF12-3GHJ-45KL
5. FFST-UVWX-YZAB

জলপাই কেন খাবেন জেনে নিন জলপাইয়ের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ!




বাঙালিরা খাদ্যপ্রেমিক জাতি। আমরা সবাই খেতে ভালবাসি।এবং বিভিন্ন প্রকারের খাবার আইটেম তৈরি করে  থাকি। এক একটা খাবারের স্বাদ এক এক রকম হয়ে থাকে। আজকে আমরা আলোচনা করব জলপাই সম্পর্কে। জলপাই, এটি সবাই চেনে। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র এলাকায় জলপাই পাওয়া যায়। যেসব অঞ্চলে জলপাই গাছ না জন্মাতে পারে, বিশেষ করে লবণাক্ত অঞ্চলে, সেখানেও হাটে বাজারে এই জলপাই কিনতে পাওয়া যায়। জলপাই ফলটি একটু সস্তা হলেও রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন। যেগুলো আপনার শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি আপনার একটি পুষ্টিকর খাবারের চাহিদা পূরণ করতে পারে।তো আসুন আমরা জেনে নিই এই জলপাই সম্পর্কে! কি কি পুষ্টিগুণ আছে এর ভিতর? এবং এটি খাইলে কি হবে? এবং কি কি কাজে এই জলপাই ব্যবহার করা হয়?

জলপাই খাওয়ার উপকারিতা

প্রথমেই যেটা বলা উচিত 

সেটি হল জলপাই একটি আঁশযুক্ত খাবার। জলপাইয়ের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ বা  ফাইবার যেটাকে বলে। যেটা পাকস্থলীর বিভিন্ন অংশ, অর্থাৎ ক্ষুদ্রান্ত, বৃহদন্ত্র, কোলনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। সেই সাথে আঁশযুক্ত খাবার হজমে সহায়তা করে। তাই এ কথা বলা যায় যে জলপাই খাবারটি অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার।

দ্বিতীয়তঃ

জলপাই খেলে দেহের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। এটি দেহের রক্ত চলাচল প্রক্রিয়াটি ঠিক রাখে। ফলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর লাইপো প্রোটিনের পরিমাণ কমিয়ে আনে এবং হৃদপিণ্ডকে সুরক্ষা প্রদান করে। যে কারণে হৃদপিণ্ড সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।

তৃতীয়তঃ

আমরা জানি টক জাতীয় খাবারে ভিটামিন সি-এর পরিমাণটা অনেক বেশি থাকে। সুতরাং জলপাইতেও রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন সি, ও সেই সাথে ভিটামিন এ । আর এটা তো সবাই জানে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ শরীরের জন্য কতটা উপকারী উপাদান। চোখের বিভিন্ন রোগের সমস্যা দূর করে ভিটামিন এ।  তাছাড়া  চুল দাঁত হাড়কে মজবুত রাখে এই ভিটামিন এ এবং সি।

চতুর্থতঃ

অনেকের আছে রাতকানা রোগ এর সমস্যা। তাছাড়া চোখ ওঠা, চোখের পাতা ইনফেকশন হওয়া,এ সকল সমস্যা দূর করতে জলপাইয়ের অবদান অপরিসীম। এসব সমস্যা হলে জলপাই নিয়মিত খেলে এই সমস্যাগুলো আর হবে না ।এবং সুষ্থ মানুষ যদি নিয়মিত জলপাই খায় তাহলে তাদের ভবিষ্যতে এরকম সমস্যা  হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। এটি  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে সর্বদা সুস্থতা প্রদান করেবে।

আরো পড়ুন খেজুরের উপকারিতা ও পুষ্টিগুন

তাছাড়া যে ব্যক্তি সর্বদা নিয়মিত জলপাই খায় তার শরীরে গলব্লাডার ও পিত্তথলিতে পাথর, বাতের ব্যথা কিংবা রিউমাটেড আর্থাইটিস এর পরিমাণ অনেকাংশে কমে যায়।  এবং শরীরকে সুস্থতা প্রদান করে।  জলপাইতে প্রাকৃতিক এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে প্রচুর পরিমাণে । যেটা আমরা সবাই জানি দেহের ক্যান্সারের জীবাণুকে ধ্বংস করে, অর্থাৎ ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। সুতরাং জলপাই খাওয়ার ফলে শরীরে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।


আজকাল জলপাইয়ের তেল ও বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।

 জলপাইয়ের তেল যে কোন বয়সের মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি পদার্থ।জলপাইয়ের তেলে নেই কোন চর্বি বা কোলেস্টেরল। তাই এটি ব্যবহারের ফলে শরীরে বা রক্তের চর্বি বা লিপিড জমে যাওয়ার ভয় থাকে না। অন্যদিকে রক্তের চর্বি বা ফ্যাট এর পরিমাণও কমে আসে অনেকাংশে। সুতরাং যাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট বা চর্বি রয়েছে তারা জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করতে পারেন। আশা করি অনেক উপকার পাবেন।

তাছাড়া আরো একটি উপাদান রয়েছে , যেটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান ।সেটি হল অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট। এটি রয়েছে জলপাইতে প্রচুর পরিমাণে। এবং এটি শরীরের বিভিন্ন রোগ জীবাণু ধ্বংস করে এবং সূর্যের যে অতিবেগুনি রশ্নি এটা থেকেও আমাদের রক্ষা করে।

তো এতক্ষণ ধরে আমরা আলোচনা করলাম জলপাইয়ের উপকারী গুণগুলো, এবং আমাদের প্রতিটা পয়েন্টে উল্লেখ করেছি যে , জলপাইয়ের অত্যন্ত উপকারী এবং বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। যেটি ছোট বড় সবারই কমবেশি খাওয়া উচিত। এবং এছাড়াও জলপাই তে আরো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জলপাই আপনি কিভাবে খেতে পারেন?

জলপাই আপনি যেকোন উপায়ে খেতে পারেন। আপনি এটি যেভাবে খাবেন সেভাবে এর উপকার পাবেন। অনেকেই কাঁচা অবস্থায় খেয়ে নেয়। অনেকে রান্না করে খায়, আবার অনেকে আছে এটি আচার তৈরি করে খায়। তবে আমার মতে বা আমার কাছে আচার করে খাওয়াটাই বেশি স্বাদ যুক্ত। তবে কাঁচা অবস্থায় খেলে এটি বেশি উপকার পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের জলপাইয়ের আচার বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে খাবারের মেনুতে। শুধু বাংলাদেশে নয় বিশ্বের অনেক দেশে এখন এটি তৈরি করা হয়, এবং আচারের ক্ষেত্রে জলপাই বিশেষ জায়গা দখল করে নিয়েছে। তো আপনি যে কোন উপায়ে জলপাই খেতে পারেন, কাঁচা অবস্থায় খেতে পারেন ,রান্না করে খেতে পারেন ,অথবা ভর্তা করে খেতে পারেন, এবং আচার করেও খেতে পারেন।

Disclaimer

তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের জলপাই সম্পর্কে প্রতিবেদন ।আশা করি লেখাটি পড়ে সবার ভালো লাগছে এবং জলপাই সম্পর্কে একটু হলেও আপনারা জানতে পেরেছেন । লেখাটি পড়ে কোন প্রশ্ন থাকলে অথবা কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারবেন। সেই সাথে আমাদের এই সাইটটি ভিজিট করার অনুরোধ রইল। এরকম আরো অনেক পোস্ট করা হয়েছে এই সাইটে । বিভিন্ন খাবার সম্পর্কে, খাবারের গুনাগুন সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। তো বন্ধুরা কথা হবে পরবর্তী পোস্টে, সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন ,এবং বিশেষ করে খাবারের প্রতি গুরুত্ব দিন। শরীর চর্চা করুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।ধন্যবাদ সবাইকে

ডাবের জল কেন খাবেন জেনে নিন ডাবের জলের কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে!

ডাব ঈশ্বরের সৃষ্টি এক অতুলনীয় বস্তু। ডাবের জলে রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ, যা আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা। আজকের এই পোস্টে আমরা ডাবের জল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানব।

ডাব বাংলাদেশের সর্বত্র অঞ্চলেই পাওয়া যায়। এটি মিষ্টি এলাকাতেও হয়। আবার লবণাক্ত এলাকাতেও হয়। ডাব ঈশ্বরের সৃষ্ট এমন একটি বস্তু, যেখানে শুধুমাত্র লবন এলাকা, অন্য কোন গাছ জন্মাতে পারে না! সেখানেও হয়ে থাকে। এবং লবণ আবহাওয়া এবং লবণ পানির ভিতরেও  ডাবের জল সুমিষ্ট হয়ে থাকে। এবং মানুষের খাবারের যোগ্য ও নিরাপদ বিশুদ্ধ পানীয় হিসেবে খাওয়া হয়ে থাকে।   ডাব গাছের সব জিনিসই মানুষের কোন না কোন কাজে লাগে। যেমন ডাব গাছের পাতা দিয়ে জ্বালানি এবং ঝাড়ু তৈরি করা হয়। ডাব গাছ দিয়ে কাঠ বা পাটাতন তৈরি করা হয়। নারকেল দিয়ে তেল তৈরি করা হয় এবং ডাব তো খাওয়ার জন্য খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সবমিলিয়ে ডাব গাছ অত্যন্ত উপকারী এবং দরকারী একটি বৃক্ষ।

 তো বন্ধুরা আমরা আজ শুধু ডাবের জল সম্পর্কে আলোচনা করব। কি কি পুষ্টিগুণ আছে এই ডাবের জলে ? সেসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।

আরো পড়ুন 

ডিহাইড্রেশন
অতিরিক্ত গরম যে সময় পড়ে, অর্থাৎ গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত গরম পড়ার কারণে মানুষের শরীর থেকে প্রয়োজনীয় জল বেরিয়ে যায়। শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। আবার কখনো বা অতিরিক্ত বমি হওয়ার ফলে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় জলটা বেরিয়ে যায় এবং বিশেষ করে যারা মরুভূমি অঞ্চলে অথবা সাগর কিনারায় থাকে, তাদেরও শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যাওয়ার কারণে ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যা হয়ে থাকে ।সমস্যা সমাধানের একটি সহজ সাধ্য মাধ্যম হলো ডাবের জল। একটা কথা মনে রাখবেন, এই ডিহাইড্রেশন সমস্যার ফলে একটা মানুষের তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হতে পারে। কারণ আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন অতিরিক্ত গরমে যখন আপনার শরীর ঘেমে সব জল বেরিয়ে যায় তখন আপনার শরীরের কেমন অবস্থা হয়। এবং সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ডাবের পানি অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান।  ডাবের জল অতি অল্প মাত্রায় পান করলেও শরীরে এই ডিহাইড্রেশন এর সমস্যা সমাধান করে দেয় ।কারণ এই ডাবের জলে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট যা শরীরে এনার্জি বাড়ায়।

এটি ব্লাড প্রেসারেও বিরাট ভূমিকা রাখে!
ব্লাড প্রেসার এমনই একটা সমস্যা যেটা একবার মানুষের হয়ে থাকলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অবিরত ভাবে চলতেই থাকে। যাদের ব্লাড প্রেসার আছে তারা ভালোভাবেই জানে বিষয়টা। তো ডাবের জল মানুষের এই ব্লাড প্রেসারটাকে নিয়ন্ত্রণ করে। কারণ এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি যা ব্লাড প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তবে একটা কথা জেনে রাখা ভালো ডাবের জল যেহেতু খেতে একটু মিষ্টি, সে ক্ষেত্রে যাদের ডায়াবেটিক্স এর সমস্যা আছে তারা পরিমাণ মতো খাবেন । অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আপনার ডায়াবেটিসের সমস্যা হলে হতে পারে। তো অবশ্যই তারা এটি পরিমাণ মতো পান করবেন।



হার্টের সমস্যা দূর করে ডাবের জল!
আজকাল অনেকেরই দেখা যায় হার্টের সমস্যা রয়েছে। তো যাদের এই সমস্যাটা আছে তাদের ক্ষেত্রে ডাবের জল অত্যন্ত কার্যকরী একটি খাবার । ডাবের জল খাওয়ার ফলে হার্টকে ভালো রাখে । তাই যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ডাবের জল রাখতে পারেন। এবং বিজ্ঞানীরা একটা গবেষণায় প্রমাণ করেছিলেন যে যারা নিয়মিত ডাবের জল খায় তাদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেকাংশে কম থাকে।  সেই সাথে এটি মানুষের হাইপার টেনশন কমায়।

হাড়ের গঠনকে শক্ত এবং মজবুত করে!
হাড়কে শক্ত এবং মজবুত রাখতে শরীরে প্রয়োজন হয় ক্যালসিয়ামের এবং সেই সাথে আরো বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে ডাবের জলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে, যেটা হাড় শক্ত করার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা পালন করে। এবং এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম যেটা হারকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। তাই শরীরে হাড়ের গঠন ঠিক রাখতে এবং শক্ত রাখার জন্য ডাবের জল খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

স্কিন ইনফেকশনের সমস্যা সমাধান!
যাদের শরীরে বিভিন্ন স্পট অথবা স্কিনে ইনফেকশন থাকে তাদের ক্ষেত্রে ডাবের জল অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। ডাবের জল নিয়মিত সেবন করার ফলে আপনার শরীরের স্ক্রিনের ইনফেকশন কমে যাবে। কারণ ডাবের জলে রয়েছে এন্টিফাঙ্গাল বা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুন। যেটা আপনার স্কিনকে উজ্জ্বল এবং সতেজ করে তুলবে। এবং সেই সাথে স্কিনের ইনফেকশন দূর করবে। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের ক্ষেত্রে ডাবের জল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডাবের জল আপনার ত্বককে চকচকে করার পাশাপাশি এটি প্রাকৃতিকভাবে ময়েশ্চার এর কাজ করে ।এবং ত্বক তৈলাক্ত হলে ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে তাকে মশ্চারাইজার করে।

গ্লোয়িং স্কিন!
আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা গ্লোয়িং স্কিনের মূল রহস্য হলো ডাবের জল। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের ভেতর থেকে তরতাজা করে এবং ত্বক কে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দেয়। যদি নিয়মিত হারে ডাবের জল দিয়ে মুখ ধোয়া হয় তাহলে পার্থক্যটা নিজেই বুঝতে পারবেন। এটি আপনার ত্বকের মৃত কোষ দূর করে আপনার ত্বককে আরো উজ্জ্বল এবং সুন্দর করবে।

চুলের সমস্যায় ডাবের জল!

চুলের সমস্যা আজকাল অধিকাংশ মানুষেরই দেখা যায়। ত্বকের সঙ্গে চুলের সমস্যা ও চুলকে ভালো রাখতে ডাবের জল অত্যন্ত কার্যকারী একটি উপাদান। ডাবের জল স্কেলপের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। যে কারণে চুল কম পড়ে । এছাড়াও ডাবের জল প্রাকৃতিক কন্ডিশনারেরও কাজ করে এবং চুলকে রুক্ষ হয়ে যাবার হাত থেকে বাঁচায়। যে কারণে চুল মসলিন থাকে। ডাবের জল সেই সাথে মাথায় খুশকি ও নিয়ন্ত্রণ রাখে। তাই যাদের চুলের সমস্যা চুল ওঠে অথবা ভেঙে যায় তারা ডাবের জল ব্যবহার করতে পারেন।

তো বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের প্রতিবেদন। আশা করি সবার ভালো লাগছে। এতক্ষণ ধরে লেখাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। কথাহবে পরবর্তী পোস্টে, সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

 

পেঁপে কেন খাবেন? জেনে নিন পেঁপে খাবার হাজারো উপকারিতা!

পেঁপে আমাদের সবারই পরিচিত এবং সুস্বাদু একটি খাবার। বিশেষ করে পাকা পেঁপে। বাংলাদেশের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে এটি পাওয়া না যায়। পেঁপের উপকারিতা রয়েছে অনেক। পেঁপে একটি সবজি হিসেবে খাওয়া যায় অথবা কাঁচা পেঁপে ফল হিসেবেও খাওয়া যায়। তবে পাকা অথবা কাঁচা উভয়ই অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। যেটা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী পুষ্টি উপাদান। শুধু তাই নয় প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্রে পেঁপে কে ভিটামিনের স্টোরও বলে অভিহিত করা হয়েছে।

এক নজরে দেখে নিন পেঁপের উপকারিতা গুলো!

ব্রণ ও কালো দাগ দূর করা!

যাদের মুখে ব্রণ থাকে অথবা কালো স্পট থাকে তাদের ক্ষেত্রে পেঁপে অত্যন্ত কার্যকরী একটা খাবার। যেটা মুখের ব্রণ কমাতে এবং কালো স্পট দূর করতে বিশেষ কাজ করে। এটি খাওয়ার ফলে আপনার ত্বক আরো বেশি উজ্জ্বল এবং গ্লোয়িং করবে। বিশেষ করে মুখের মরা কোষ দূর করে নতুন কোষের সৃষ্টি করে । যে কারণে আপনার সৌন্দর্য অনেক অংশে বৃদ্ধি পাবে এবং সেই সাথে ব্রণ ও কালো স্পট দূর হয়ে যাবে। যাদের এই সমস্যাটি আছে তারা অবশ্যই বেশি করে কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন। সেই সাথে এক টুকরা পাকা পেঁপে আক্রান্ত স্থানে ভালো করে ঘষে নিন। তারপর আধাঘন্টা রেখে  ঠান্ডা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে তিন থেকে চার বার করলে আপনার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

দেখে নিন পেঁপে রূপচর্চায় কিভাবে ব্যবহার করা হয়!

> পেঁপেতে আছে ভিটামিন এ এবং বিশেষ এক ধরনের প্রোটিন, যা আপনার শরীরের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। ফলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল এবং লাবণ্যযময় হয়।

> কাঁচা পেঁপে ব্লেন্ডারে পিষে পেস্টের মত করে মুখে লাগালে, আপনার মুখের ব্রণের সমস্যা ও কালো দাগের সমস্যা দূর হবে। ব্লেন্ডার না থাকলে পাকা পেঁপে ও লাগাতে পারেন তবে ব্রণের সমস্যার ক্ষেত্রে কাচা পেঁপে বেশি উপকার দিবে।

> যাদের পায়ের গোড়ালি ফেটে যায় তাদের ক্ষেত্রে পেঁপে অত্যন্ত উপকারী একটি ওষুধ হিসেবে কাজ করে। পেঁপে বেটে পায়ে লাগালে পা ফাঁটা বন্ধ হয়ে যায় এবং পা মসৃণ হতে শুরু করে। পেঁপের খোসা মুখে ত্বকে হাতে কিংবা  গায়ে লাগিয়ে রাখলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে উঠবে।

> যারা মুখে ত্বকে নিয়মিত পেঁপের রস লাগায় তাদের বয়সের ছাপ পড়ে না ,অর্থাৎ অনেক বয়স হয়ে গেল ও আপনার ত্বক তারুন্য এবং উজ্জ্বল থাকে।

আরো পড়ুন 

> যাদের মুখের ত্বক খসখসে এবং অমসরিন তাদের ক্ষেত্রে পেঁপে বাটা ও মধু একসাথে মিশিয়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। তাহলে ত্বকের শুষ্কতা চলে যাবে এবং ত্বক মসৃণ এবং কমল হবে।

> যাদের চুলে প্রচুর পরিমাণে খুশকি দেখা দেয় কোনভাবেই তার সমাধান করতে পারেন না তাদের ক্ষেত্রে চুলে শ্যাম্পু করার আগে পেঁপে বাটা বা পেঁপের রস লাগিয়ে রাখতে হবে তাহলে আপনার খুশকি সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

হজম শক্তি বাড়াতে পেঁপের গুনাগুন!

হজমে গোলমাল এটি একটি কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান ছোট বড় অনেকেরই এই সমস্যা দেখা যায়। হজম শক্তি কমে গেলে অম্বল, মুখে চোকা ঢেকুর ওঠে, পেট ব্যথা, কখনো বুকে চিনচিন ব্যথা, এসব লক্ষণ দেখা যায়। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শরীরে অবসাদ এবং ক্লান্তি নেমে আসে ।এই সমস্যার ক্ষেত্রে পেঁপে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এনজাইম যা খাবারকে হজম করতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পানি এবং দ্রবণীয় ফাইবার। যে কারণে পেটের সমস্যায় যেসব মানুষ ভোগে থাকেন তারা নিয়মিত পাকা অথবা কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার সমস্যা অনেকাংশে উপশম হবে।

রক্ত আমাশয় প্রতিরোধে পেঁপে!

রক্ত আমাশয় মানুষের অনেক বড় একটি সমস্যা। আশেপাশে অনেকেই দেখা যায় এই সমস্যায় ভুগছেন। তো তাদের ক্ষেত্রে প্রত্যাহ সকালে কাচা পেঁপের আঠা ৫ থেকে ৬ ফোঁটা, পাঁচ থেকে ছয়টি বাতাসার সঙ্গে মিশিয়ে খেলে আপনার এই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। তবে কমপক্ষে তিন থেকে চার দিন খেতে হবে। তাছাড়া এটি আপনি মাঝে মাঝে খেতে পারেন তাতে কোন সমস্যা নেই।

কৃমি সমস্যার সমাধান!

শরীরের যেকোনো প্রকার  কৃমির সমস্যা হলে পেঁপের আটা ১৩ থেকে ১৪ ফোটা এবং মধু এক চা চামচ একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। এরপর আধাঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে এবং আধা ঘন্টা পর উষ্ণ পানি আধা কাপ খেয়ে এক চামচ বাখারি খেতে হবে। এভাবে যদি দুইদিন খাওয়া হয় তাহলে আপনার কৃমি উপদ্রব কমে যাবে।

আমাশয় প্রতিরোধে পেঁপে!

আমাশয় ও পেটে যন্ত্রণা থাকলে কাঁচা পেঁপের আঠা ৩০ ফোঁটা ও এক চামচ চুনের পানি মিশিয়ে তাতে একটু দুধ দিয়ে খেতে হবে ।এভাবে মাত্র এক থেকে দুই দিন খেলে পেটে ব্যথা সহ আমাশয় কমে যাবে। আমাশয় থেকে মুক্তি পাওয়ার এক আশ্চর্য সমাধান হলো পেঁপের আঠা।

যকৃত বৃদ্ধিতে পেঁপের উপকারিতা!

অনেকেরই আছে এই সমস্যাটি হয়ে থাকে। এমন অবস্থায় ৩০ ফোঁটা পেঁপের আঠাতে এক চামচ চিনি মিশিয়ে এক কাপ পানিতে ভালো করে মিশিয়ে নিবেন এভাবে সারাদিনে গড়ে তিনবার ভাগ করে খেতে হবে। চার থেকে পাঁচ দিন পর  আপনার যকৃত বৃদ্ধি টা কমে যাবে। তবে পাঁচ থেকে ছয় দিন খাওয়ার পর সপ্তাহে দুই দিন রেস্ট দেওয়া ভালো। অর্থাৎ সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ দিন খাবেন এভাবে এক মাস খেতে পারেন।

শরীরে এন্টি বডি তৈরি করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়!

পেঁপেতে রয়েছে  প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, এবং ই, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরে এন্টিবডি তৈরি করে। যার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বৃদ্ধি পায় অনেকাংশে। তাছাড়া ভিটামিন এ থাকার কারণে এটি চোখেরও বেশ উপকার করে। এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও বিশেষ কাজ করে। এতে চিনির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পেঁপে একটি আদর্শ খাবার। এবং যাদের ডায়াবেটিস নাই তাদের ক্ষেত্রে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেঁপে রাখাটা অত্যন্ত উপযুক্ত। সেই সাথে পেঁপে ডায়াবেটিস হওয়া প্রতিরোধ করে।

হাড়ের গঠন ও মজবুত করে!

পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং কপার যেটা শরীরের হাড় এবং দাঁতের গঠন মজবুত করে ও শক্তিশালী করে। তাই নিয়মিত আমাদের পেঁপে খাওয়া উচিত। সেই সাথে এটি কোলেস্টেরল কমায়। পেঁপেতে থাকা ফাইবার ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ধমনীর কোলেস্টেরল জমাতে বাধা প্রদান করে, এবং আমরা তো সবাই জানি ধমনীতে চর্বি জমার কারণে হার্ট এট্যাক্ট এর মত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেই সাথে কাঁচা পেঁপে খেলে শরীরে চর্বি বা মেদ কমে। এতে কোন খারাপ কোলেস্টেরল বা চর্বি নেই। যে কারণে যারা একটু বেশি মোটা তারাও নিশ্চিন্তে এটি খেতে পারেন।

তো সর্বোপরি এটা বলা যায় পেঁপে অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। এটি কাঁচা অথবা পাকা  উভয় অবস্থাতে খেতে পারেন এবং প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এটি অবশ্যই রাখতে পারেন ।
তো বন্ধুরা আজকের পোস্টটি এই পর্যন্তই আশা করি পেঁপে সম্পর্কে আপনারা অনেকটাই জানতে পেরেছেন। কথা হবে পরবর্তী পোস্টে, সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ, থাকুন। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান এবং শরীর চর্চা করুন।


 বেদানা খাওয়ার বিভিন্ন উপকার!



বেদানা আমাদের সবার পরিচিত এবং সুস্বাদু একটি ফল। ছোট বড় সবাই এই ফলটি খুব পছন্দ করে, এবং দেখতে ও অনেক সুন্দর। বেদানাতে রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ এবং ভিটামিন ও মিনারেল। যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করব এই বেদানা সম্পর্কে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা অনেকবার গবেষণা করার পর এটি প্রমাণ করেছে যে, আজকের এই ভয়ংকর পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে এবং এই অবস্থা থেকে শরীরকে বাঁচাতে বেদানার রসের কোন বিকল্প হয় না। কারণ দিন দিন যতই উন্নয়ন হচ্ছে ঠিক ততটাই দূষিত হচ্ছে পরিবেশ এবং সেই সাথে বসবাস করার অনুপযুক্ত হচ্ছে এই পৃথিবী। এভাবে চললে একদিন দেখা যাবে পৃথিবীতে মানুষ বসবাস করার আর উপযোগী থাকবে না। তো সেসব দিক থেকে বিবেচনা করলে প্রত্যেকটা মানুষের খাদ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। কারণ একটা মানুষকে সুস্থভাবে বাঁচাতে খাদ্যের পরে দ্বিতীয় কোন বস্তু নাই। তো এমতা অবস্থায় এটা বলা যায় বেদানা অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু একটি ফল। যা একজন মানুষকে সুস্থ ভাবে বাচিয়ে রাখতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।

বেদানার ভিতরে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ,এবং আরো নানাবিধ শক্তিশালী উপাদান। যেগুলো দেহে প্রবেশ করা মাত্রই দেহের শিরা-উপশিরা কোষ গুলোকে আরো শক্তিশালী করে তোলে। যে কারণে ছোট বড় কোন রোগই শরীরের ধারে কাছে আসতে পারে না। শুধু তাই না এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে শরীরে আরো নানা রকম উপকার পাওয়া যায়।

নিয়মিত বেদানা খাওয়ার ফলে ব্রেন ডিজিস সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বেদানার ভিতর থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার কারণে মানুষের ব্রেন কার্যক্ষমতা দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে এটি ব্রেন ছেলের ক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় এবং এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে এলজাইমাসের মত মস্তিষ্ক জনিত রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

এটি ভিটামিনের ঘাটতি দূর করে!

শরীরকে সচল এবং সুস্থ রাখতে ভিটামিনের কোন বিকল্প নাই । এবং এর জন্য যে ভিটামিন গুলো দরকার সবগুলোই বেদানার ভিতরে উপস্থিত। যেমন ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, সেই সঙ্গে ফলেট, পটাশিয়াম এবং আরো অনেক প্রকার ভিটামিন রয়েছে এর ভিতর। তাই দীর্ঘদিন যদি সুস্থভাবে বাঁচতে হয় অথবা নীরোগভাবে সুস্থ সবল থাকতে হয় তবে অবশ্যই এই ফলটি খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।

পেটের রোগের উপশম করে এই ফলটি!

আমরা জানি বাঙালি মানেই মাত্রা ছাড়া খাওয়া দাওয়া। আর এমনটা করতে গিয়ে সমস্যা তো হবেই। তো যাদের এই সমস্যাটা হয় তাদের ক্ষেত্রে বেদানা একটি মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে । যাদের পেটে সমস্যা, পেটে ব্যথা, পেটে গলগন্ড অথবা হজমে গরমিল হয় তাদের ক্ষেত্রে এই ফলটি অত্যন্ত উপকারী।  সমস্যা চলাকালীন সময়ে কয়েক টুকরা বেদানা খেয়ে নিবেন। দেখবেন কিছু  সময়ের ভিতরেই আপনার পেটের ব্যথা অথবা যন্ত্রণা কমে গেছে। কারণ এই বেদানার ভিতরে রয়েছে একাধিক উপকারী উপাদান। যেগুলো স্টমাকের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেয়। দ্বিগুণ হারে সেই সঙ্গে হজমেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। অনেকে আছে আবার বেদনার পাতা দিয়ে চা তৈরি করে খায় এতেও বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

হার্টের ক্ষমতা বাড়ায় এবং হার্টের যত্ন নেয়  । রোজকার খাবারের মেনুতে যদি এই ফলটি রাখেন তবে অবশ্যই আপনার হার্ট ভালো  থাকবে। কেননা এই ফলটি খাওয়ার ফলে শরীরে রক্ত পরিষ্কার হয় এবং রক্ত প্রবাহের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যে কারণে হার্ট ও ভালো থাকে।  এই ফলটি খাওয়ার ফলে হার্টের ক্ষমতাও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। সেই সাথে স্ট্রোক করা বা হার্ট অ্যাটাক করার ঝুঁকি কমে আসে অনেকাংশে। বিশেষ করে বেদনার ভিতরে থাকা কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হার্টের বিশেষভাবে যত্ন নেয়।


নিয়মিত বেদানা খাওয়ার ফলে আপনার চুল পড়া অথবা পেকে যাওয়া হাত থেকেও রক্ষা পেতে পারেন। যাদের এই সমস্যাটি আছে তারা অবশ্যই নিয়মিত বেদানা খেতে পারেন।  সেইসাথে শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে বেদনার গুরুত্ব অপরিসীম । ক্যান্সারের মতো মারাত্মক মরণঘাতী রোগ হার মানে এই বেদানার কাছে। যারা নিয়মিত বেদানা খায় তাদের শরীরে ক্যান্সারের জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে না। বেদানার ভেতর  ফ্লেভনয়েড নামক এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যেটা রক্তে উপস্থিত ক্যান্সারের সৃষ্টিকারী টক্সিক উপাদান শরীর থেকে বের করে দেয়। ফলে কোনভাবেই দেহের ভিতরে ক্যান্সারের সেল জন্ম নিতে পারে না। বেশ কিছু গবেষণায় এটি প্রমাণ করা হয়েছে যে প্রোটেস্ট এবং ব্রেষ্টের ক্যান্সারকে দূরে রাখতেও এই ফলটি নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া অ্যানিমিয়ার মত রোগ ও শরীরের ধারে কাছে আসতে পারে না। সরকারি জরিপে দেখা গেছে যে প্রতিবছরই দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে অ্যানিমিয়া রোগের প্রকোপ। এমতা অবস্থায় বেদানা খাওয়ার প্রয়োজন পড়েছে অধিক মাত্রায়। কারণ এই ফলটির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তস্বল্পতার মত সমস্যা দূর করে। এ কারণেই বাচ্চা থেকেই বিশেষ করে মেয়েদের বেদানা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে চিকিৎসকবিদ্যারা। 

আরো পড়ুন কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা

বেদানা খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিকস ও নিয়ন্ত্রণে থাকে। যাদের পারিবারিক এই রোগটি ইতিহাস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বেদানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। বেদানা খাওয়া শুরু করলে আপনার শরীরের সুগার লেভেলটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। যে কারণে কখনোই ডায়াবেটিস আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারবে না। বেদানা খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন শুরু করে , যে রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে ডায়াবেটিসের মতো মরণ ব্যাধিও শরীরের ধারে কাছে আসতে পারে না। সেইসাথে শরীরের রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করে। যে কারণে যাদের ব্লাড প্রেসার আছে তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই বেদানা। তাই যাদের এই সমস্যাগুলো আছে তারা অনায়াসেই বেদানা খেতে পারেন নিয়ম করে । এতে আপনার এ সমস্যাগুলো সমাধানের পাশাপাশি আপনার শরীর সুস্থ এবং সবল থাকবে।

তো বন্ধুরা, আজকের পোস্টটি এই পর্যন্তই। আশা করি বেদানা সম্পর্কে আপনারা অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। প্রতিবেদনটি সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। এতক্ষণ ধরে কষ্ট করে লেখাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। কথা হবে পরবর্তী পোস্টে। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন। 

মিষ্টি কুমড়া কেন এত বেশি জনপ্রিয়? জেনে নিন মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে!




     মিষ্টি কুমড়া অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সবজি, যা বাংলাদেশের সর্বত্র অঞ্চলেই পাওয়া যায়। এবং এটি ব্যাপক হারে ভারত সহ বাংলাদের বিভিন্ন অঞ্চলে চাষ করা হয়। মিষ্টিকুমড়া খেতে অতন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার। এক কথায় কুমড়ার মত সুস্বাদু সবজি খুব কমই আছে। তাছাড়া হালকা মিষ্টি স্বাদের এই সবজিটি প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। খাদ্য তালিকায় বা আপনার প্রতিদিনের খাবারের মেনুতে এটি রাখতে পারেন। কারন এই মিষ্টি কুমড়া আপনাকে বিভিন্ন অসুখ-বিসুখের হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে। কেননা মিষ্টি কুমড়া এমনই একটি সবজি যাতে রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ।

জেনে নিন মিষ্টি কুমড়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে!

চোখের সুরক্ষায় মিষ্টি কুমড়ার অবদান অত্যন্ত বেশি। কেননা মিষ্টি কুমড়াতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। যা চোখের কর্নিকাকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। আর আমরা তো সবাই জানি ভিটামিন এ চোখের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ । যাদের ভিটামিন এর ঘাটতি আছে তাদের চোখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। তো এই সমস্যা সমাধানের জন্য অথবা ভবিষ্যতে যাতে এই সমস্যা না হয় সে কারণে মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন। এতে আপনার ভিটামিন এ এর ঘাটতি পূরণ হবে এবং আপনার চোখকে ভালো রাখবে।



দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এই মিষ্টি কুমড়া!  এককথায় বলা যায় মিষ্টি কুমড়া হল বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও পুষ্টিগুণের ভান্ডার । এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ,ভিটামিন ই ,আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ,সহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। যা আপনার শরীরের টিস্যুকে রক্ষা করে ।শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখে।

ওজন কমাতে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই মিষ্টি কুমড়া! কারণ মিষ্টি কুমড়ায় ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং পটাশিয়াম থাকে। আর আমরা তো সবাই জানি ফাইবার দেহের খুদা নিয়ন্ত্রণ করে ,এবং পটাশিয়াম দেহের অপ্রয়োজনীয় পানি এবং লবণ বের করে দেয়। যাতে করে শরীর নিয়ন্ত্রণে থাকে। তো সেই দিক থেকে বিবেচনা করলে এটি খাওয়ার ফলে শরীর নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং যারা অতিরিক্ত মোটা অথবা শরীরে ফ্যাট বেশি তাদের ওজনকমাতে এটি বিষেশ গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করবে।

যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের পক্ষেও মিষ্টি কুমড়া অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার! কুমড়াতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। যা আমাদের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। সেই সাথে ভিটামিন সি,  এতে সাহায্য করে ।এবং মিষ্টি কুমড়া ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। কারণ কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আন্টি অক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার প্রতিরোধক । এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এটি চর্বি স্তর জমাতে বাধা প্রদান করে। যে কারণে নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খেলে হৃদরোগ এর ঝুকিও কম থাকে।

ঠান্ডা লাগা বা সর্দি কাশি হাত থেকে রক্ষা করে ! যেহেতু মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে এবংসর্দি ,কাশি ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।  মিষ্টি কুমড়াতে থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি ত্বক ও চুলের বিশেষ উপকার করে। তাই চকচকে উজ্জ্বল চুল ও উজ্জ্বল গ্লোয়িং ত্বকের জন্য ভিটামিন মিশ্রিত এই মিষ্টি কুমড়া খাওয়া উচিত। এছাড়াও ডায়াবেটিস এর বিশেষ উপকার করে।  এটি শরীরে নিয়মিত ইনসুলিন সরবরাহ করে এবং ক্ষতিকর অক্সিডেটিভ চাপ কমাতে সাহায্য করে। মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার ফলে হজমেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কুমড়ার বিচিতে থাকায় এক প্রকারের প্রোটিন যা রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি বয়সের ছাপ কমায়। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক ও হাইড্রোক্সাইড। আর আমরা তো সবাই জানি জিংক শরীরের ইউনিটি সিস্টেম ভালো রাখে ও অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

সবশেষে বলা যায় মিষ্টি কুমড়া অত্যন্ত উপকারী এবং হাজারো পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি সবজি। যা সব ধরনের সব বয়সি মানুষেই খেতে পারেন। এটি বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খেতে পারেন। খিচুড়ি অথবা তরকারি হিসেবে, ভর্তা করে, বা ভাজি করে, খেতে পারেন। যেভাবে খাবেন এতে অত্যন্ত সুস্বাদু ও  পুষ্টিকর খাবার। খাদ্য রসিক মানুষের খাবারের মেনুতে প্রতিদিনই এই সবজিটি রাখতে পারেন।

আরো পড়ুন

বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের মিষ্টি কুমড়া সম্পর্কে প্রতিবেদন। আশা করি সবারই ভালো লাগছে। লেখাটি সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনাদের কমেন্টের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। কথা হবে আগামী পোস্টে ,সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ।

মেথি কেন ব্যাবহার করবেন? যেনেনিন মেথির হাজারও পুষ্টিগুন!



 মেথি আমাদের সবার পরিচিত। হাটে বাজারে সর্বত্র এটি কিনতে পাওয়া যায়। যদিও এটি দামে অনেকটা সস্তা, তারপরও মেথির রয়েছে হাজারো গুনাগুন। মেথি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান, যা শুধু শরীরে নয় ত্বক এবং চুলের যত্নে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আপনি জানেন কি মানুষের শরীরের রক্তে শর্করা ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে মেথির গুরুত্ব ও অত্যন্ত ব্যাপক। এটি মানুষের রক্তচাপ, ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ , চুলপড়া রোদ, রক্তস্বল্পতো, সমস্যা এসব সমাধান করে থাকে। এক কথায় মেথিকে সুপার ফুড হিসেবে ও ধরে নেওয়া যায়।


তো বন্ধুরা আজকে আমরা আলোচনা করব এই মেথি সম্পর্কে। মেথি আসলে কিভাবে ব্যবহার করবেন? এটি ব্যবহারে কি হয় ? এসব বিষয় একটি প্রতিবেদন করব। 

মেথিতে থাকে ফলিক অ্যাসিড, রিবোফ্লাব ইন কপার, পটাশিয়াম , ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ সহ আরো অনেক উপাদান। যেগুলো শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও এতে আপনি আরো পাবেন ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, এর মত পুষ্টির উৎস ।বিজ্ঞানীরা বেশ কিছু গবেষণা তে এটি প্রমাণ করেছে যে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যায় মেথি মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করেছে।


এই ভেষস উপাদান মানুষের শরীরে গ্লুকোজের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ রাখে। এমনকি শরীরের বাড়তি কার্বোহাইড্রেট শোষণ করে শরীরকে সুস্থ ও সকল রাখে। তাছাড়া প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যদি মেথি রাখা হয় তবে অনেক কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এমনটি জানিয়েছেন ভারতের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দীঘা ভাবসার। তিনি সর্বপ্রথম এই কার্যকরী কথাটি জানিয়েছিলেন।

এক নজরে দেখেনি মেথির উপকারী দিকগুলো!

প্রতিদিন সকালে সারারাত ভেজানো মেথির পানি যদি খালি পেটে পান করা হয় তাহলে মানুষের খিদে ও হজম শক্তি বেড়ে যায় ।এছাড়াও যেকোনো খাবারের সঙ্গেই রাখতে পারেন এই মেথি। অর্থাৎ আপনি যে কোন খাবারের সাথেও এটি খেতে পারেন।


মেথি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ও রক্তচাপের মাত্রা ও কমাতে সক্ষম তাই। যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে এমনকি শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের ক্ষেত্রে মেথি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় তারা অবশ্যই মেথি খেতে পারেন।

চুল পড়া সমস্যায় কম বেশি সবাই ভোগেন। কেননা আজকাল এই সমস্যাটা একটি কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তো যাদের এই সমস্যাটি আছে তাদের ক্ষেত্রে মেথি অত্যন্ত কার্যকরী একটি ওষুধ। আপনি জানেন কি মেথি চুল পড়া রোধ করে এবং মেথি ব্যবহার ফলে চুল পড়া বন্ধ হওয়া এবং চুলে পুষ্টিহীনতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এই মেথি। রক্তের যাবতীয় দূষিত পদার্থ বের করে দিয়ে রক্তকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এই মেথি। তাছাড়া যাদের কোষ্ঠকানিষ্ঠ, শরীরে ফোলা ভাব, পেশির ব্যথা, হাঁটুরগীতে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে মেথি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত মেথি খেলে আপনার এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

আরো পড়ুন

কাশি হাঁপানি ব্রঙ্কাইটিস বুকে কফ জমা ইত্যাদি অনেকেরই ঠান্ডা জনিত রোগ হয়ে থাকে। একটু ঠান্ডা লাগার কারণেই তাদের এই সমস্যাগুলো বাড়তে থাকে। তাদের ক্ষেত্রেও মেথি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মেথি খাওয়ার নিয়ম অথবা কিভাবে এটি ব্যবহার করবেন?

প্রথমে এক থেকে দুই চা চামচ মেথির বীজ সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। এবং সকালে ওই পানি খেতে পারেন, অথবা চাইলে ওই পানি ফুটিয়ে চা তৈরি করেও খেতে পারেন। এতে আপনার পুষ্টিগুণ কমবে না।

দ্বিতীয়তঃ মেথি গুড়া করে দিনে দুবার খাবার আগে বা রাতে গরম দুধ বা পানির সঙ্গে মিশিও খেতে পারেন। তবে এটি দুধের সাথে খেলে পুষ্টিগুণ দ্বিগুণ হয়ে যাবে। তাছাড়া এই মেথি বেটে কিংবা ব্লেন্ডারে পিষে দই বা অ্যালোভেরা জেলে কিংবা পানির সাথে মিশিয়ে  চুলে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনার খুশকি, চুল পড়া, চুল পাকা, ইত্যাদি সমস্যা থেকে দ্রুত উপশম পাবেন।

চতুর্থত গোলাপ জল দিয়েও তৈরি করতে পারেন । মেথির পেস্ট এটি ব্যবহার করলে আপনার চোখের নিচের কালো দাগ ব্রণের দাগ ও বলিরেখা দূর হয়ে যাবে।

পরিশেষে এটি বলা যায় মেথি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার এবং সেই সাথে একটি প্রসাধনী। এটি ব্যবহারের ফলে আপনার বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সেই সাথে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে শরীরকে সুস্থতা প্রদান করে।

তো বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের মেথি সম্পর্কে প্রতিবেদন। আশা করি সবাই বিষয়টি বুঝতে পারছেন। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। লেখাটি কষ্ট করে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। কথা হবে পরবর্তী পোস্টে। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন।


 তরমুজ কেন খাবেন? জেনে নিন তরমুজের উপকারিতা এবং অপকারিতা!



তরমুজ আমাদের সবার পরিচিত একটি ফল। এটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি সুস্বাদু। বাংলাদেশের সর্বত্র অঞ্চলে এটি পাওয়া যায়। এটি একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। প্রচন্ড গরমে তরমুজের জুস আপনাকে এনে দিতে পারে প্রাণ শীতল করা অনুভূতি।

জেনে নিন তরমুজের কয়েকটি উপকারিতা!

তরমুজ খাওয়ার ফলে শরীরে কোলেস্টেরল এর মাত্রা কম থাকে। কার্ডিওভাসকুলার নামক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া তরমুজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল থাকায় তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং চোখের সমস্যা তরমুজ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যাদের চোখে সমস্যা আছে তারা বেশি বেশি পরিমাণে তরমুজ খেতে পারেন। এতে আপনার চোখের উপকার আসবে ।কারণ তরমুজে রয়েছে ভিটামিন সি ।এবং ভিটামিন এ আর এই দুটি উপাদান শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অতিরিক্ত গরমে শরীরকে ঠান্ডা করে আবার গলাও ভিজায় এই তরমুজ ।তবে শুধু তাই নয় মানুষের শরীরের আদ্রতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই তরমুজ ।৫০০০ বছর আগে সর্বপ্রথম এই তরমুজ দেখতে পাওয়া যায় মিশরে এবং তারপর থেকে এই ফলের স্বাদ ও গুণের কারণে ছড়িয়ে পড়েছে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে। তরমুজ এমন একটি ফল এর ভিতর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ।যা মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডিক হিসেবে কাজ করে। সেই সঙ্গে রয়েছে লাইকোপিন এসকরবিক এসিড। তবে এই দুটি উপাদান অনন্য উপাদানের থেকে বেশি পরিমাণে রয়েছে তরমুজে ,এবং আমরা তো প্রত্যেকেই জানি এইসব উপাদানগুলি হার্টের সমস্যা থেকে শুরু করে ক্যান্সার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং ভবিষ্যতে হার্টের সমস্যা এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে আমাদের তরমুজ খাওয়া উচিত।



গরমকালে কেন তরমুজ খাবেন?

তরমুজ কমবেশি সারা বছরই পাওয়া যায়। তবে গরমকালে এর চাহিদাটা একটু বেশি পরিমাণে থাকে। তবে তার বিশেষ কিছু কারণ আছে। তরমুজে ক্যালরির মাত্রা খুবই কম থাকে। যে কারণে এই ফল সবার জন্যই সমান স্বাস্থ্যকর। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, ইত্যাদি এবং এর সাথে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। তরমুজে উপস্থিত সব এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষের ক্ষয় রোধ করে এবং ক্যান্সার ও প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। সেই সাথে হার্টের যত্ন নেয়।

 যাদের চোখের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রেও তরমুজ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। চোখ ও ত্বকের যত্ন নেয় তরমুজ। এতে আছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি দুটোই ত্বক ও চোখের জন্য অত্যন্ত ভালো। ভিটামিন বি ৬ আছে তরমুজে যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী । শরীরকে শক্ত এবং মজবুত করতে এবং শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করতে তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম তাই ক্লান্ত অবস্থায় অথবা পরিশ্রম করার পর তরমুজ খেলে শরীরে শক্তি ও বৃদ্ধি পায় অনেকাংশে।

আরো পড়ুন

 তো বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের তরমুজ সম্পর্কে প্রতিবেদন। আশা করি লেখাটি সবার ভালো লাগছে। লেখাটি সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধরে কষ্ট করে লেখাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। কথা হবে পরবর্তী পোস্টে। সে পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন।

 ধন্যবাদ সবাইকে

Post a Comment

Previous Post Next Post