Free Fire Max redeem codes today
1. FF78-9ABC-DEFG
2. FFHI-JKLM-NOPQ
3. FFRS-TUVW-XYZA
4. FF12-3GHJ-45KL
5. FFST-UVWX-YZAB
জলপাই কেন খাবেন জেনে নিন জলপাইয়ের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ!
বাঙালিরা খাদ্যপ্রেমিক জাতি। আমরা সবাই খেতে ভালবাসি।এবং বিভিন্ন প্রকারের খাবার আইটেম তৈরি করে থাকি। এক একটা খাবারের স্বাদ এক এক রকম হয়ে থাকে। আজকে আমরা আলোচনা করব জলপাই সম্পর্কে। জলপাই, এটি সবাই চেনে। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র এলাকায় জলপাই পাওয়া যায়। যেসব অঞ্চলে জলপাই গাছ না জন্মাতে পারে, বিশেষ করে লবণাক্ত অঞ্চলে, সেখানেও হাটে বাজারে এই জলপাই কিনতে পাওয়া যায়। জলপাই ফলটি একটু সস্তা হলেও রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন। যেগুলো আপনার শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি আপনার একটি পুষ্টিকর খাবারের চাহিদা পূরণ করতে পারে।তো আসুন আমরা জেনে নিই এই জলপাই সম্পর্কে! কি কি পুষ্টিগুণ আছে এর ভিতর? এবং এটি খাইলে কি হবে? এবং কি কি কাজে এই জলপাই ব্যবহার করা হয়?
জলপাই খাওয়ার উপকারিতা
প্রথমেই যেটা বলা উচিত
সেটি হল জলপাই একটি আঁশযুক্ত খাবার। জলপাইয়ের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ বা ফাইবার যেটাকে বলে। যেটা পাকস্থলীর বিভিন্ন অংশ, অর্থাৎ ক্ষুদ্রান্ত, বৃহদন্ত্র, কোলনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। সেই সাথে আঁশযুক্ত খাবার হজমে সহায়তা করে। তাই এ কথা বলা যায় যে জলপাই খাবারটি অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার।
দ্বিতীয়তঃ
জলপাই খেলে দেহের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। এটি দেহের রক্ত চলাচল প্রক্রিয়াটি ঠিক রাখে। ফলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর লাইপো প্রোটিনের পরিমাণ কমিয়ে আনে এবং হৃদপিণ্ডকে সুরক্ষা প্রদান করে। যে কারণে হৃদপিণ্ড সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
তৃতীয়তঃ
আমরা জানি টক জাতীয় খাবারে ভিটামিন সি-এর পরিমাণটা অনেক বেশি থাকে। সুতরাং জলপাইতেও রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন সি, ও সেই সাথে ভিটামিন এ । আর এটা তো সবাই জানে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ শরীরের জন্য কতটা উপকারী উপাদান। চোখের বিভিন্ন রোগের সমস্যা দূর করে ভিটামিন এ। তাছাড়া চুল দাঁত হাড়কে মজবুত রাখে এই ভিটামিন এ এবং সি।
চতুর্থতঃ
অনেকের আছে রাতকানা রোগ এর সমস্যা। তাছাড়া চোখ ওঠা, চোখের পাতা ইনফেকশন হওয়া,এ সকল সমস্যা দূর করতে জলপাইয়ের অবদান অপরিসীম। এসব সমস্যা হলে জলপাই নিয়মিত খেলে এই সমস্যাগুলো আর হবে না ।এবং সুষ্থ মানুষ যদি নিয়মিত জলপাই খায় তাহলে তাদের ভবিষ্যতে এরকম সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে সর্বদা সুস্থতা প্রদান করেবে।
আরো পড়ুন খেজুরের উপকারিতা ও পুষ্টিগুন
তাছাড়া যে ব্যক্তি সর্বদা নিয়মিত জলপাই খায় তার শরীরে গলব্লাডার ও পিত্তথলিতে পাথর, বাতের ব্যথা কিংবা রিউমাটেড আর্থাইটিস এর পরিমাণ অনেকাংশে কমে যায়। এবং শরীরকে সুস্থতা প্রদান করে। জলপাইতে প্রাকৃতিক এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে প্রচুর পরিমাণে । যেটা আমরা সবাই জানি দেহের ক্যান্সারের জীবাণুকে ধ্বংস করে, অর্থাৎ ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। সুতরাং জলপাই খাওয়ার ফলে শরীরে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।
আজকাল জলপাইয়ের তেল ও বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।
জলপাইয়ের তেল যে কোন বয়সের মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি পদার্থ।জলপাইয়ের তেলে নেই কোন চর্বি বা কোলেস্টেরল। তাই এটি ব্যবহারের ফলে শরীরে বা রক্তের চর্বি বা লিপিড জমে যাওয়ার ভয় থাকে না। অন্যদিকে রক্তের চর্বি বা ফ্যাট এর পরিমাণও কমে আসে অনেকাংশে। সুতরাং যাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট বা চর্বি রয়েছে তারা জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করতে পারেন। আশা করি অনেক উপকার পাবেন।
তাছাড়া আরো একটি উপাদান রয়েছে , যেটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান ।সেটি হল অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট। এটি রয়েছে জলপাইতে প্রচুর পরিমাণে। এবং এটি শরীরের বিভিন্ন রোগ জীবাণু ধ্বংস করে এবং সূর্যের যে অতিবেগুনি রশ্নি এটা থেকেও আমাদের রক্ষা করে।
তো এতক্ষণ ধরে আমরা আলোচনা করলাম জলপাইয়ের উপকারী গুণগুলো, এবং আমাদের প্রতিটা পয়েন্টে উল্লেখ করেছি যে , জলপাইয়ের অত্যন্ত উপকারী এবং বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। যেটি ছোট বড় সবারই কমবেশি খাওয়া উচিত। এবং এছাড়াও জলপাই তে আরো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জলপাই আপনি কিভাবে খেতে পারেন?
জলপাই আপনি যেকোন উপায়ে খেতে পারেন। আপনি এটি যেভাবে খাবেন সেভাবে এর উপকার পাবেন। অনেকেই কাঁচা অবস্থায় খেয়ে নেয়। অনেকে রান্না করে খায়, আবার অনেকে আছে এটি আচার তৈরি করে খায়। তবে আমার মতে বা আমার কাছে আচার করে খাওয়াটাই বেশি স্বাদ যুক্ত। তবে কাঁচা অবস্থায় খেলে এটি বেশি উপকার পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের জলপাইয়ের আচার বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে খাবারের মেনুতে। শুধু বাংলাদেশে নয় বিশ্বের অনেক দেশে এখন এটি তৈরি করা হয়, এবং আচারের ক্ষেত্রে জলপাই বিশেষ জায়গা দখল করে নিয়েছে। তো আপনি যে কোন উপায়ে জলপাই খেতে পারেন, কাঁচা অবস্থায় খেতে পারেন ,রান্না করে খেতে পারেন ,অথবা ভর্তা করে খেতে পারেন, এবং আচার করেও খেতে পারেন।
Disclaimer
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের জলপাই সম্পর্কে প্রতিবেদন ।আশা করি লেখাটি পড়ে সবার ভালো লাগছে এবং জলপাই সম্পর্কে একটু হলেও আপনারা জানতে পেরেছেন । লেখাটি পড়ে কোন প্রশ্ন থাকলে অথবা কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারবেন। সেই সাথে আমাদের এই সাইটটি ভিজিট করার অনুরোধ রইল। এরকম আরো অনেক পোস্ট করা হয়েছে এই সাইটে । বিভিন্ন খাবার সম্পর্কে, খাবারের গুনাগুন সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। তো বন্ধুরা কথা হবে পরবর্তী পোস্টে, সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন ,এবং বিশেষ করে খাবারের প্রতি গুরুত্ব দিন। শরীর চর্চা করুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।ধন্যবাদ সবাইকে
ডাবের জল কেন খাবেন জেনে নিন ডাবের জলের কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে!
তো বন্ধুরা আমরা আজ শুধু ডাবের জল সম্পর্কে আলোচনা করব। কি কি পুষ্টিগুণ আছে এই ডাবের জলে ? সেসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
পেঁপে কেন খাবেন? জেনে নিন পেঁপে খাবার হাজারো উপকারিতা!
এক নজরে দেখে নিন পেঁপের উপকারিতা গুলো!
ব্রণ ও কালো দাগ দূর করা!
হজম শক্তি বাড়াতে পেঁপের গুনাগুন!
রক্ত আমাশয় প্রতিরোধে পেঁপে!
কৃমি সমস্যার সমাধান!
আমাশয় প্রতিরোধে পেঁপে!
যকৃত বৃদ্ধিতে পেঁপের উপকারিতা!
শরীরে এন্টি বডি তৈরি করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়!
হাড়ের গঠন ও মজবুত করে!
বেদানা খাওয়ার বিভিন্ন উপকার!
বেদানা আমাদের সবার পরিচিত এবং সুস্বাদু একটি ফল। ছোট বড় সবাই এই ফলটি খুব পছন্দ করে, এবং দেখতে ও অনেক সুন্দর। বেদানাতে রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ এবং ভিটামিন ও মিনারেল। যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করব এই বেদানা সম্পর্কে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা অনেকবার গবেষণা করার পর এটি প্রমাণ করেছে যে, আজকের এই ভয়ংকর পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে এবং এই অবস্থা থেকে শরীরকে বাঁচাতে বেদানার রসের কোন বিকল্প হয় না। কারণ দিন দিন যতই উন্নয়ন হচ্ছে ঠিক ততটাই দূষিত হচ্ছে পরিবেশ এবং সেই সাথে বসবাস করার অনুপযুক্ত হচ্ছে এই পৃথিবী। এভাবে চললে একদিন দেখা যাবে পৃথিবীতে মানুষ বসবাস করার আর উপযোগী থাকবে না। তো সেসব দিক থেকে বিবেচনা করলে প্রত্যেকটা মানুষের খাদ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। কারণ একটা মানুষকে সুস্থভাবে বাঁচাতে খাদ্যের পরে দ্বিতীয় কোন বস্তু নাই। তো এমতা অবস্থায় এটা বলা যায় বেদানা অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু একটি ফল। যা একজন মানুষকে সুস্থ ভাবে বাচিয়ে রাখতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।
বেদানার ভিতরে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ,এবং আরো নানাবিধ শক্তিশালী উপাদান। যেগুলো দেহে প্রবেশ করা মাত্রই দেহের শিরা-উপশিরা কোষ গুলোকে আরো শক্তিশালী করে তোলে। যে কারণে ছোট বড় কোন রোগই শরীরের ধারে কাছে আসতে পারে না। শুধু তাই না এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে শরীরে আরো নানা রকম উপকার পাওয়া যায়।
নিয়মিত বেদানা খাওয়ার ফলে ব্রেন ডিজিস সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বেদানার ভিতর থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার কারণে মানুষের ব্রেন কার্যক্ষমতা দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে এটি ব্রেন ছেলের ক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় এবং এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে এলজাইমাসের মত মস্তিষ্ক জনিত রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এটি ভিটামিনের ঘাটতি দূর করে!
শরীরকে সচল এবং সুস্থ রাখতে ভিটামিনের কোন বিকল্প নাই । এবং এর জন্য যে ভিটামিন গুলো দরকার সবগুলোই বেদানার ভিতরে উপস্থিত। যেমন ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, সেই সঙ্গে ফলেট, পটাশিয়াম এবং আরো অনেক প্রকার ভিটামিন রয়েছে এর ভিতর। তাই দীর্ঘদিন যদি সুস্থভাবে বাঁচতে হয় অথবা নীরোগভাবে সুস্থ সবল থাকতে হয় তবে অবশ্যই এই ফলটি খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।
পেটের রোগের উপশম করে এই ফলটি!
আমরা জানি বাঙালি মানেই মাত্রা ছাড়া খাওয়া দাওয়া। আর এমনটা করতে গিয়ে সমস্যা তো হবেই। তো যাদের এই সমস্যাটা হয় তাদের ক্ষেত্রে বেদানা একটি মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে । যাদের পেটে সমস্যা, পেটে ব্যথা, পেটে গলগন্ড অথবা হজমে গরমিল হয় তাদের ক্ষেত্রে এই ফলটি অত্যন্ত উপকারী। সমস্যা চলাকালীন সময়ে কয়েক টুকরা বেদানা খেয়ে নিবেন। দেখবেন কিছু সময়ের ভিতরেই আপনার পেটের ব্যথা অথবা যন্ত্রণা কমে গেছে। কারণ এই বেদানার ভিতরে রয়েছে একাধিক উপকারী উপাদান। যেগুলো স্টমাকের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেয়। দ্বিগুণ হারে সেই সঙ্গে হজমেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। অনেকে আছে আবার বেদনার পাতা দিয়ে চা তৈরি করে খায় এতেও বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
হার্টের ক্ষমতা বাড়ায় এবং হার্টের যত্ন নেয় । রোজকার খাবারের মেনুতে যদি এই ফলটি রাখেন তবে অবশ্যই আপনার হার্ট ভালো থাকবে। কেননা এই ফলটি খাওয়ার ফলে শরীরে রক্ত পরিষ্কার হয় এবং রক্ত প্রবাহের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যে কারণে হার্ট ও ভালো থাকে। এই ফলটি খাওয়ার ফলে হার্টের ক্ষমতাও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। সেই সাথে স্ট্রোক করা বা হার্ট অ্যাটাক করার ঝুঁকি কমে আসে অনেকাংশে। বিশেষ করে বেদনার ভিতরে থাকা কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হার্টের বিশেষভাবে যত্ন নেয়।
নিয়মিত বেদানা খাওয়ার ফলে আপনার চুল পড়া অথবা পেকে যাওয়া হাত থেকেও রক্ষা পেতে পারেন। যাদের এই সমস্যাটি আছে তারা অবশ্যই নিয়মিত বেদানা খেতে পারেন। সেইসাথে শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে বেদনার গুরুত্ব অপরিসীম । ক্যান্সারের মতো মারাত্মক মরণঘাতী রোগ হার মানে এই বেদানার কাছে। যারা নিয়মিত বেদানা খায় তাদের শরীরে ক্যান্সারের জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে না। বেদানার ভেতর ফ্লেভনয়েড নামক এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যেটা রক্তে উপস্থিত ক্যান্সারের সৃষ্টিকারী টক্সিক উপাদান শরীর থেকে বের করে দেয়। ফলে কোনভাবেই দেহের ভিতরে ক্যান্সারের সেল জন্ম নিতে পারে না। বেশ কিছু গবেষণায় এটি প্রমাণ করা হয়েছে যে প্রোটেস্ট এবং ব্রেষ্টের ক্যান্সারকে দূরে রাখতেও এই ফলটি নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া অ্যানিমিয়ার মত রোগ ও শরীরের ধারে কাছে আসতে পারে না। সরকারি জরিপে দেখা গেছে যে প্রতিবছরই দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে অ্যানিমিয়া রোগের প্রকোপ। এমতা অবস্থায় বেদানা খাওয়ার প্রয়োজন পড়েছে অধিক মাত্রায়। কারণ এই ফলটির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তস্বল্পতার মত সমস্যা দূর করে। এ কারণেই বাচ্চা থেকেই বিশেষ করে মেয়েদের বেদানা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে চিকিৎসকবিদ্যারা।
আরো পড়ুন কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা
বেদানা খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিকস ও নিয়ন্ত্রণে থাকে। যাদের পারিবারিক এই রোগটি ইতিহাস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বেদানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। বেদানা খাওয়া শুরু করলে আপনার শরীরের সুগার লেভেলটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। যে কারণে কখনোই ডায়াবেটিস আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারবে না। বেদানা খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন শুরু করে , যে রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে ডায়াবেটিসের মতো মরণ ব্যাধিও শরীরের ধারে কাছে আসতে পারে না। সেইসাথে শরীরের রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করে। যে কারণে যাদের ব্লাড প্রেসার আছে তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই বেদানা। তাই যাদের এই সমস্যাগুলো আছে তারা অনায়াসেই বেদানা খেতে পারেন নিয়ম করে । এতে আপনার এ সমস্যাগুলো সমাধানের পাশাপাশি আপনার শরীর সুস্থ এবং সবল থাকবে।
তো বন্ধুরা, আজকের পোস্টটি এই পর্যন্তই। আশা করি বেদানা সম্পর্কে আপনারা অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। প্রতিবেদনটি সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। এতক্ষণ ধরে কষ্ট করে লেখাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। কথা হবে পরবর্তী পোস্টে। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।
মিষ্টি কুমড়া কেন এত বেশি জনপ্রিয়? জেনে নিন মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে!
মিষ্টি কুমড়া অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সবজি, যা বাংলাদেশের সর্বত্র অঞ্চলেই পাওয়া যায়। এবং এটি ব্যাপক হারে ভারত সহ বাংলাদের বিভিন্ন অঞ্চলে চাষ করা হয়। মিষ্টিকুমড়া খেতে অতন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার। এক কথায় কুমড়ার মত সুস্বাদু সবজি খুব কমই আছে। তাছাড়া হালকা মিষ্টি স্বাদের এই সবজিটি প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। খাদ্য তালিকায় বা আপনার প্রতিদিনের খাবারের মেনুতে এটি রাখতে পারেন। কারন এই মিষ্টি কুমড়া আপনাকে বিভিন্ন অসুখ-বিসুখের হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে। কেননা মিষ্টি কুমড়া এমনই একটি সবজি যাতে রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ।
জেনে নিন মিষ্টি কুমড়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে!
চোখের সুরক্ষায় মিষ্টি কুমড়ার অবদান অত্যন্ত বেশি। কেননা মিষ্টি কুমড়াতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। যা চোখের কর্নিকাকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। আর আমরা তো সবাই জানি ভিটামিন এ চোখের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ । যাদের ভিটামিন এর ঘাটতি আছে তাদের চোখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। তো এই সমস্যা সমাধানের জন্য অথবা ভবিষ্যতে যাতে এই সমস্যা না হয় সে কারণে মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন। এতে আপনার ভিটামিন এ এর ঘাটতি পূরণ হবে এবং আপনার চোখকে ভালো রাখবে।
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এই মিষ্টি কুমড়া! এককথায় বলা যায় মিষ্টি কুমড়া হল বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও পুষ্টিগুণের ভান্ডার । এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ,ভিটামিন ই ,আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ,সহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। যা আপনার শরীরের টিস্যুকে রক্ষা করে ।শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখে।
ওজন কমাতে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই মিষ্টি কুমড়া! কারণ মিষ্টি কুমড়ায় ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং পটাশিয়াম থাকে। আর আমরা তো সবাই জানি ফাইবার দেহের খুদা নিয়ন্ত্রণ করে ,এবং পটাশিয়াম দেহের অপ্রয়োজনীয় পানি এবং লবণ বের করে দেয়। যাতে করে শরীর নিয়ন্ত্রণে থাকে। তো সেই দিক থেকে বিবেচনা করলে এটি খাওয়ার ফলে শরীর নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং যারা অতিরিক্ত মোটা অথবা শরীরে ফ্যাট বেশি তাদের ওজনকমাতে এটি বিষেশ গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করবে।
যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের পক্ষেও মিষ্টি কুমড়া অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার! কুমড়াতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। যা আমাদের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। সেই সাথে ভিটামিন সি, এতে সাহায্য করে ।এবং মিষ্টি কুমড়া ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। কারণ কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আন্টি অক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার প্রতিরোধক । এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এটি চর্বি স্তর জমাতে বাধা প্রদান করে। যে কারণে নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খেলে হৃদরোগ এর ঝুকিও কম থাকে।
ঠান্ডা লাগা বা সর্দি কাশি হাত থেকে রক্ষা করে ! যেহেতু মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে এবংসর্দি ,কাশি ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। মিষ্টি কুমড়াতে থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি ত্বক ও চুলের বিশেষ উপকার করে। তাই চকচকে উজ্জ্বল চুল ও উজ্জ্বল গ্লোয়িং ত্বকের জন্য ভিটামিন মিশ্রিত এই মিষ্টি কুমড়া খাওয়া উচিত। এছাড়াও ডায়াবেটিস এর বিশেষ উপকার করে। এটি শরীরে নিয়মিত ইনসুলিন সরবরাহ করে এবং ক্ষতিকর অক্সিডেটিভ চাপ কমাতে সাহায্য করে। মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার ফলে হজমেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কুমড়ার বিচিতে থাকায় এক প্রকারের প্রোটিন যা রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি বয়সের ছাপ কমায়। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক ও হাইড্রোক্সাইড। আর আমরা তো সবাই জানি জিংক শরীরের ইউনিটি সিস্টেম ভালো রাখে ও অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
সবশেষে বলা যায় মিষ্টি কুমড়া অত্যন্ত উপকারী এবং হাজারো পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি সবজি। যা সব ধরনের সব বয়সি মানুষেই খেতে পারেন। এটি বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খেতে পারেন। খিচুড়ি অথবা তরকারি হিসেবে, ভর্তা করে, বা ভাজি করে, খেতে পারেন। যেভাবে খাবেন এতে অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার। খাদ্য রসিক মানুষের খাবারের মেনুতে প্রতিদিনই এই সবজিটি রাখতে পারেন।
আরো পড়ুন
বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের মিষ্টি কুমড়া সম্পর্কে প্রতিবেদন। আশা করি সবারই ভালো লাগছে। লেখাটি সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনাদের কমেন্টের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। কথা হবে আগামী পোস্টে ,সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ।
মেথি কেন ব্যাবহার করবেন? যেনেনিন মেথির হাজারও পুষ্টিগুন!
মেথি আমাদের সবার পরিচিত। হাটে বাজারে সর্বত্র এটি কিনতে পাওয়া যায়। যদিও এটি দামে অনেকটা সস্তা, তারপরও মেথির রয়েছে হাজারো গুনাগুন। মেথি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান, যা শুধু শরীরে নয় ত্বক এবং চুলের যত্নে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আপনি জানেন কি মানুষের শরীরের রক্তে শর্করা ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে মেথির গুরুত্ব ও অত্যন্ত ব্যাপক। এটি মানুষের রক্তচাপ, ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ , চুলপড়া রোদ, রক্তস্বল্পতো, সমস্যা এসব সমাধান করে থাকে। এক কথায় মেথিকে সুপার ফুড হিসেবে ও ধরে নেওয়া যায়।
তো বন্ধুরা আজকে আমরা আলোচনা করব এই মেথি সম্পর্কে। মেথি আসলে কিভাবে ব্যবহার করবেন? এটি ব্যবহারে কি হয় ? এসব বিষয় একটি প্রতিবেদন করব।
মেথিতে থাকে ফলিক অ্যাসিড, রিবোফ্লাব ইন কপার, পটাশিয়াম , ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ সহ আরো অনেক উপাদান। যেগুলো শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও এতে আপনি আরো পাবেন ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, এর মত পুষ্টির উৎস ।বিজ্ঞানীরা বেশ কিছু গবেষণা তে এটি প্রমাণ করেছে যে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যায় মেথি মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করেছে।
এই ভেষস উপাদান মানুষের শরীরে গ্লুকোজের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ রাখে। এমনকি শরীরের বাড়তি কার্বোহাইড্রেট শোষণ করে শরীরকে সুস্থ ও সকল রাখে। তাছাড়া প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যদি মেথি রাখা হয় তবে অনেক কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এমনটি জানিয়েছেন ভারতের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দীঘা ভাবসার। তিনি সর্বপ্রথম এই কার্যকরী কথাটি জানিয়েছিলেন।
এক নজরে দেখেনি মেথির উপকারী দিকগুলো!
প্রতিদিন সকালে সারারাত ভেজানো মেথির পানি যদি খালি পেটে পান করা হয় তাহলে মানুষের খিদে ও হজম শক্তি বেড়ে যায় ।এছাড়াও যেকোনো খাবারের সঙ্গেই রাখতে পারেন এই মেথি। অর্থাৎ আপনি যে কোন খাবারের সাথেও এটি খেতে পারেন।
মেথি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ও রক্তচাপের মাত্রা ও কমাতে সক্ষম তাই। যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে এমনকি শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের ক্ষেত্রে মেথি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় তারা অবশ্যই মেথি খেতে পারেন।
চুল পড়া সমস্যায় কম বেশি সবাই ভোগেন। কেননা আজকাল এই সমস্যাটা একটি কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তো যাদের এই সমস্যাটি আছে তাদের ক্ষেত্রে মেথি অত্যন্ত কার্যকরী একটি ওষুধ। আপনি জানেন কি মেথি চুল পড়া রোধ করে এবং মেথি ব্যবহার ফলে চুল পড়া বন্ধ হওয়া এবং চুলে পুষ্টিহীনতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এই মেথি। রক্তের যাবতীয় দূষিত পদার্থ বের করে দিয়ে রক্তকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এই মেথি। তাছাড়া যাদের কোষ্ঠকানিষ্ঠ, শরীরে ফোলা ভাব, পেশির ব্যথা, হাঁটুরগীতে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে মেথি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত মেথি খেলে আপনার এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
আরো পড়ুন
কাশি হাঁপানি ব্রঙ্কাইটিস বুকে কফ জমা ইত্যাদি অনেকেরই ঠান্ডা জনিত রোগ হয়ে থাকে। একটু ঠান্ডা লাগার কারণেই তাদের এই সমস্যাগুলো বাড়তে থাকে। তাদের ক্ষেত্রেও মেথি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মেথি খাওয়ার নিয়ম অথবা কিভাবে এটি ব্যবহার করবেন?
প্রথমে এক থেকে দুই চা চামচ মেথির বীজ সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। এবং সকালে ওই পানি খেতে পারেন, অথবা চাইলে ওই পানি ফুটিয়ে চা তৈরি করেও খেতে পারেন। এতে আপনার পুষ্টিগুণ কমবে না।
দ্বিতীয়তঃ মেথি গুড়া করে দিনে দুবার খাবার আগে বা রাতে গরম দুধ বা পানির সঙ্গে মিশিও খেতে পারেন। তবে এটি দুধের সাথে খেলে পুষ্টিগুণ দ্বিগুণ হয়ে যাবে। তাছাড়া এই মেথি বেটে কিংবা ব্লেন্ডারে পিষে দই বা অ্যালোভেরা জেলে কিংবা পানির সাথে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনার খুশকি, চুল পড়া, চুল পাকা, ইত্যাদি সমস্যা থেকে দ্রুত উপশম পাবেন।
চতুর্থত গোলাপ জল দিয়েও তৈরি করতে পারেন । মেথির পেস্ট এটি ব্যবহার করলে আপনার চোখের নিচের কালো দাগ ব্রণের দাগ ও বলিরেখা দূর হয়ে যাবে।
পরিশেষে এটি বলা যায় মেথি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার এবং সেই সাথে একটি প্রসাধনী। এটি ব্যবহারের ফলে আপনার বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সেই সাথে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে শরীরকে সুস্থতা প্রদান করে।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের মেথি সম্পর্কে প্রতিবেদন। আশা করি সবাই বিষয়টি বুঝতে পারছেন। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। লেখাটি কষ্ট করে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। কথা হবে পরবর্তী পোস্টে। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন।
তরমুজ কেন খাবেন? জেনে নিন তরমুজের উপকারিতা এবং অপকারিতা!
তরমুজ আমাদের সবার পরিচিত একটি ফল। এটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি সুস্বাদু। বাংলাদেশের সর্বত্র অঞ্চলে এটি পাওয়া যায়। এটি একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। প্রচন্ড গরমে তরমুজের জুস আপনাকে এনে দিতে পারে প্রাণ শীতল করা অনুভূতি।
জেনে নিন তরমুজের কয়েকটি উপকারিতা!
তরমুজ খাওয়ার ফলে শরীরে কোলেস্টেরল এর মাত্রা কম থাকে। কার্ডিওভাসকুলার নামক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া তরমুজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল থাকায় তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং চোখের সমস্যা তরমুজ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যাদের চোখে সমস্যা আছে তারা বেশি বেশি পরিমাণে তরমুজ খেতে পারেন। এতে আপনার চোখের উপকার আসবে ।কারণ তরমুজে রয়েছে ভিটামিন সি ।এবং ভিটামিন এ আর এই দুটি উপাদান শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অতিরিক্ত গরমে শরীরকে ঠান্ডা করে আবার গলাও ভিজায় এই তরমুজ ।তবে শুধু তাই নয় মানুষের শরীরের আদ্রতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই তরমুজ ।৫০০০ বছর আগে সর্বপ্রথম এই তরমুজ দেখতে পাওয়া যায় মিশরে এবং তারপর থেকে এই ফলের স্বাদ ও গুণের কারণে ছড়িয়ে পড়েছে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে। তরমুজ এমন একটি ফল এর ভিতর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ।যা মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডিক হিসেবে কাজ করে। সেই সঙ্গে রয়েছে লাইকোপিন এসকরবিক এসিড। তবে এই দুটি উপাদান অনন্য উপাদানের থেকে বেশি পরিমাণে রয়েছে তরমুজে ,এবং আমরা তো প্রত্যেকেই জানি এইসব উপাদানগুলি হার্টের সমস্যা থেকে শুরু করে ক্যান্সার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং ভবিষ্যতে হার্টের সমস্যা এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে আমাদের তরমুজ খাওয়া উচিত।
গরমকালে কেন তরমুজ খাবেন?
তরমুজ কমবেশি সারা বছরই পাওয়া যায়। তবে গরমকালে এর চাহিদাটা একটু বেশি পরিমাণে থাকে। তবে তার বিশেষ কিছু কারণ আছে। তরমুজে ক্যালরির মাত্রা খুবই কম থাকে। যে কারণে এই ফল সবার জন্যই সমান স্বাস্থ্যকর। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, ইত্যাদি এবং এর সাথে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। তরমুজে উপস্থিত সব এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষের ক্ষয় রোধ করে এবং ক্যান্সার ও প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। সেই সাথে হার্টের যত্ন নেয়।
যাদের চোখের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রেও তরমুজ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। চোখ ও ত্বকের যত্ন নেয় তরমুজ। এতে আছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি দুটোই ত্বক ও চোখের জন্য অত্যন্ত ভালো। ভিটামিন বি ৬ আছে তরমুজে যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী । শরীরকে শক্ত এবং মজবুত করতে এবং শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করতে তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম তাই ক্লান্ত অবস্থায় অথবা পরিশ্রম করার পর তরমুজ খেলে শরীরে শক্তি ও বৃদ্ধি পায় অনেকাংশে।
আরো পড়ুন
তো বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের তরমুজ সম্পর্কে প্রতিবেদন। আশা করি লেখাটি সবার ভালো লাগছে। লেখাটি সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধরে কষ্ট করে লেখাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। কথা হবে পরবর্তী পোস্টে। সে পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন।