পুঁইশাখ এর উপকারিতা।কেন এটি খুব জনপ্রিয়? যেনেনিন এর মুল কারন!
পুঁইশাখ যা আমাদের বহুল পরিচিত একটি সবজি। পুঁইশাক একপ্রকার লতা জাতীয় উদ্ভিদ। যার পাতা কান্ড শাখা-প্রশাখা সবটাই সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। এটি গোত্রভুক্ত বহুবর্ষজীবী উষ্ণমণ্ডলীয় উদ্ভিদ। বাংলাদেশের পশ্চিমবঙ্গ সহ আসাম এবং ত্রিপুরায় এর সর্বত্র চাষ করা হয়। এটি ভাজি অথবা তরকারি হিসেবে রান্না করে খাওয়া হয়।
পুঁইশাক এর বর্ণনা
এটি নরম শাখাযুক্ত এক প্রকার উদ্ভিদ। যার মাংসালো ডগা দ্রুতবেগে বাড়তে থাকে। এটা গড়ে প্রায় ১০ মিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। এর পাতা অনেকটা রসালো এবং পাতাতে একপ্রকার মৃদু গন্ধ পাওয়া যায় ।এর পাতা মসৃণ এবং কিছুটা পিচ্ছিল ভাব আছে। পুঁইশাকের একটি গোত্র হলো লাল ।এটির পূর্ণবয়স্ক কান্ড লালচে বেগুনি হিসেবে পরিচিত। পুই শাকের ফুল লাল অথবা সাদা হয়ে থাকে। এবং এর ফল মটর দানার মত হয়ে থাকে। যেটি পাকলে বেগুনি কালার হয়ে যায়।
খাদ্য গুনাগুন
অন্যান্য সবজির মতো পুঁইশাখে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামি যা শরীরের পুষ্টির অভাব পূর্ণ করে। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, লোহা ,ও ক্যালসিয়াম ।এটি খাইলে মানুষের শরীরের এইসব পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ করে।
আরো পড়ুন
পুঁইশাক পুষ্টিকারক এবং তৃপ্তি কারক। যেটা খেলে শরীরে পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি তৃপ্তি ও পাওয়া যায়। পাতাসহ সমগ্র গাছ ভেজষ গুণসমৃদ্ধ। এর পাতা মূত্রকারক গনোরিয়া রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে ।অর্শ রোগের অতিরিক্ত স্রাব অতিসার প্রবৃত্তি অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে পুঁইশাকের বিশেষ ব্যবহার রয়েছে। পুই শাকের পাতার রস করে খাইলে ছোটদের সর্দি-কাশি শ্বাষকষ্ট উপশম করে ।
তাছাড়া পুঁইশাখ শুধু সবজি হিসেবে না পশু-পাখির খাদ্য হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে গরু ছাগল এদেরকে খেতে দেওয়া হয়। পুইশাকের অবশিষ্ট অংশ অর্থাৎ যেটি মানুষের খাওয়ার উপযোগী নয় এটি পরিষ্কার করে গৃহপালিত পশুদের খাওয়ানো হয়।
আরো পড়ুন পুদিনা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে
পুই শাকের চাষ
পুঁইশাক সাধারণত শীতকালীন সবজি, তবে এখন প্রায় প্রতি ঋতুতেই কম বেশি পাওয়া যায়। এটি দ্রুত বর্ধনশীল একটি সবজি এবং খুবই কম খরচে এটি চাষ করা যায় ।প্রথমে চাষের জমি তৈরি করে বিভিন্ন সার দিয়ে মাটি তৈরি করে, বাজার থেকে পুই শাকের বীজ কিনে সেগুলো পানিতে ভিজিয়ে মাটির ভিতরে রোপণ করা হয়। এবং কয়েকদিন পরে সেখান থেকে পুঁইশাকের ছোট চারা গজাতে শুরু করে ।তবে যদি কোন কারনে পুঁইশাকের বিজ ঘনঘন করে রোপণ করা হয় তাহলে কিছুসংখ্যক চারা ভিতর থেকে উঠিয়ে ফেলতে হবে যাতে করে প্রতিটা চারা পর্যাপ্ত জায়গা পায় বাড়ার জন্য। এভাবেই পুঁইশাক চাষ করা যায় এবং এটি খুব অল্প দিনের ভিতরে খাওয়ার উপযোগী হয়ে যায়।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের পুঁইশাক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ।আশা করি একটু হলেও আপনারা বুঝতে পেরেছেন পুঁইশাখ সম্পর্কে ।ধন্যবাদ এত সময় কষ্ট করে লেখাটা পড়ার জন্য। পোস্টটি পড়ে কোন জিজ্ঞাসা অথবা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। কথা হবে আগামী পোস্টে, সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন।