হলুদ কেন খাবেন? নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে কী হয়?
হলুদ যা আমাদের বহুল পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটা মশলা। যা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর সাথে সাথে খাবারের রং এবং গুনগত মান ঠিক রাখে। হলুদ একটা ভেজষ গুন সমৃদ্ধ অসুধ বললেও ভূল হবেনা। বিশেষ করে কাঁচাহলুদ।
নিচে কাঁচা হলুদের উপকারিতা আলোচনা করা হলো।
কাঁচা হলুদের ভিতর বিভিন্ন উপকারি গুন রয়েছে। তার ভিতর নিয়মিত কাঁচা হলুদ সেবন করলে হার্ট ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। স্কিনের তারন্য ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং ব্রেন ভালো রাখে ও হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এছাড়া খাবারের স্বাদ ও শুগন্ধ নিয়ন্ত্রন করে এ কাঁচা হলুদ। শুধু মাত্র শরিরের সুগার কমায় না মেদ কমাতে ও হার্ট সুস্থ রাখতে কাঁচা হলুদের বিকল্প নেই।
কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়মাবলিঃ-
বিশেষঙ্গদের মতে কাঁচা হলুদ ২ গ্রাম গোল মরিচের সাথে মিশিয়ে খেলে শরিরের নানা বিধ উপকার হয়ে থাকে। বিভিন্ন রোগের অষুধ হিসাবে কাজ করে । নিয়ম করে যদি কাঁচা হলুদ সেবন করা হয় তবে স্কিন সহ ইমিউনিটি, হার্ট স্নায়ু লিভার সব কিছু ভালো রাখে।এমন কি এটি ক্যানসার এর সম্ভাবনা ও কমাতে পারে অনেকাংশে।
খালিপেটে কাঁচা হলুদ খাওয়ার বিকল্প এখনো নাই বললে চলে। কাঁচা হলুদ খাওয়ার ফলে শরিরের রক্ত পরিস্কার করে। এবং সেই সাথে শরিরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
চিকিৎসকদের মতে হলুদ দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার বেশি পাওয়া যায়। কারন হলুদের ভিতরে প্রধান উপাদান কারকিউমিনকে সম্পূর্ন কাজে লাগাতে দুধের বিকল্প আর নেই। পানি বা গুড়ের সঙ্গে ও খাওয়া যায়। এছাড়া গোলমরিচ গুড়ো করে হলুদের সঙ্গে মিশিয়ে ও খাওয়া যায়। এতে কারমিউমিনের ক্ষমতা অনেক গুন বেড়ে যায়।
আরো পড়ুন
গুড়ো হলুদ খাওয়ার নিয়মঃ-
গুড়ো হলুদ সাধারন্ত রান্ন করে খাওয়া হয়। তবে বিশেষ ভাবে লক্ষ রাখতে হবে যাতে এটি নির্ভেজাল হয়। না হলে উপকারের থেকে ক্ষতি বেশি হতে পারে। তাই হয়তো হলুদ ভালোভাবে শুকিয়ে তারপর গুড়ো করে খেতে হবে। নয়তো কাচা হলুদ বেটে খাইতে হবে।
দিনে কতটুকু খাবেন?
ডাক্টারের মতে একবারে ৫০০ মিলিগ্রাম খাওয়াই যথেষ্ট। তবে রাতে ও সমপরিমাণ খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমানোর আগে দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
বেশি পরিমাণে হলুদ খেলে কি হবে?
হলুদ রক্ত পাতলা করে যে কারণে গর্ভ অবস্থায় হলুদ না খাওয়াটাই ভালো। যাদের কিডনিতে সমস্যা তারা হলুদ না খাওয়াটাই ভালো। হলুদে ২% অক্সালেট থাকে যার প্রভাবে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সর্বশেষে বলা যায় হলুদ একটি বিশেষ গুণসমৃদ্ধ ঔষধি। যাহা সঠিক মাত্রায় সেবন করলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
তো বন্ধুরা লেখা টি এতক্ষণ কষ্ট করে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি একটু হলেও আপনারা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ!