কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা | কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

 কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা কচুর লতি খাওয়ার অপকারিতা কচুর লতি খেলে কি এলার্জি হয় কচুর উপকারিতা ও অপকারিতা কচুর লতির পুষ্টি উপাদান কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা কচুর খাওয়ার উপকারিতা


জেনে নিন কচুর লতির গুনাগুণ ও উপকারিতা!


আমাদের সবার কাছেই অতি পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি সবজি কচুর লতি। কচুর লতি বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই পাওয়া যায়। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি এর রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ। যা মানব শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে। সেইসাথে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুলাংশে বাড়িয়ে দেয়।

যেখানে পাবেন কচুর লতি

গ্রামের বাড়ির আনাচে-কানাচে পরিতক্ত জায়গায় অথবা নালা নর্দমা পাশে জন্মাতে দেখা যায় কচু লতি। আবার বর্তমান সময় কিছু কিছু এলাকাজুড়ে মানুষ এটি চাষ করে থাকে। তবে গ্রাম অঞ্চলে এটি  সচরাচর আনাচে-কনাচে পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন টমেটো সম্পর্কে

কেন খাবেন কচুর লতি?

এই সবজিতে ডায়াটারি বা আঁশ এর পরিমান খুব বেশি। জেটি খাবার হজমে সাহায্য করে, এবং পুরাতন শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করে। শরীরের বিভিন্ন সংক্রামক রোগ থেকে আমাদের এটি রক্ষা করে। এতে কোলেস্টেরল বা চর্বি কিছু পরিমাণ ভিটামিন বি ও পাওয়া যায়। যা মাথার উপরিভাগে গরম হয়ে যাওয়া, হাতে পায়ে ঝি ঝি ধরা বা অবাস হয়ে যাওয়া এসব সমস্যা গুলো সমাধান করে। তাছাড়া মস্তিষ্কে সুষ্ঠুভাবে রক্ত চলাচল করার জন্য ভিটামিন বি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কচুর লতিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। আমরা তো সবাই জানি শরীরের জন্য আয়োডিন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আয়োডিন খাবার হজমের পর বর্জ্য দেহ থেকে সঠিকভাবে নিষ্কাশন করে, এবং হজমে সহায়তা করে। তাই কচুর লতি খেলে এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও কম হয়। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। কারণ কচুর লতি রক্তে চিনির মাত্রা বাড়ায় না, তাই ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন।


আরো পড়ুন রসুন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে

কচুর লতিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যেটি দেহের হাড় শক্ত ও মজবুত করে এবং চুলের ভঙ্গুরতা রোধ করে। আমরা তো সবাই জানি ক্যালসিয়াম শরীরের জন্য কত জরুরী একটা উপাদান। তো যাদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি আছে তারা কচুর লতি খেয়ে এটি পূরণ করতে পারে।

কচুর লতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। যেটা প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গর্ভাবস্থা, শিশু, কেমোথেরাপি পাচ্ছে এমন রোগী, যে কোন খেলোয়ার, অথবা যারা অধিক পরিশ্রম করে তাদের জন্য কচুর লতি ভীষণ উপকারী।

গরমে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। কচুর ডাটা প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা আপনার শরিরের পানির চাহিদা পুরন করে। যে কারণে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কচু শাক বা কচুর লতি বা কচুর ডাটা রাখা যেতে পারে।

আশা করি আপনারা কচুর লতি সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ কষ্ট করে লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি একটু হলেও আপনাদের উপকার হয়েছে। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ! সবাইকে

Post a Comment

Previous Post Next Post