মিষ্টি আলু কেন খাবেন? জেনে নিন মিষ্টি আলু খাওয়ার উপকারিতা!
হাট-বাজারে হরহামেশাই দেখতে পাওয়া যায় এই মিষ্টি আলু। মিষ্টি আলু সবজি হিসেবে খুবই জনপ্রিয় একটি সবজি। খাইতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি সস্তা, এবং সেই সাথে মিষ্টি আলুর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। যেগুলো আপনার শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে। নিয়ম করে মিষ্টি আলু খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহ, শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে।
জেনেনিন মিষ্টি আলুর নানান উপকারিতা!
তরকারি ছাড়াও বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় এই মিষ্টি আলু। এটি বিভিন্ন কালারের হয়ে থাকে। সাদা, খয়েরি, বেগুনি, হলুদ, কমলা ইত্যাদি অনেক কালারের মিষ্টি আলু পাওয়া যায় বাজারে। খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি এই মিষ্টি আলুর রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। খাবারের মেনুতে এই মিষ্টি আলু রাখা যেতে পারে নিঃসন্দেহে। যেকোনো পাঁচমিশালী তরকারি তে বা মিষ্টি কোন ডিসে এই সবজি ব্যবহার করা যেতে পারে। মিষ্টি আলু খেতে যেহেতু মিষ্টি ফলে অনেকেই এই সবজিটি খাওয়া থেকে এড়িয়ে যায়। এমনকি অনেকে মনে করেন এটি খেলে ডায়াবেটিসের সমস্যা হতে পারে। অনেক ডায়াবেটিস রোগীরা এটি খেতে ভয় পায়। তবে প্রকৃতপক্ষে এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে সেইসাথে হজমের সমস্যা দূর করে।
মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুন
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে যা খাবার হজমে সাহায্য করে সেই সাথে কোষ্ঠকানিষ্ঠ সমস্যা দূর করে। এটি ভাতের মত খাওয়া যায়। এই সবজি খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি থাকে, ফলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে ,ওবেসিটি ও কমায়। অনেকেরই আছে হজমে সমস্যা হয়, যে কারণে তাদের মলত্যাগে সমস্যা হয়। এটি ডায়েটে রাখলে সেই সমস্যাগুলো আর হবে না।
মিষ্টি আলু বিশেষ করে রাঙ্গা যে আলুগুলো, এতে রয়েছে এন্টি ইনফ্লামেটরি। তাছাড়া এতে প্রায় সব ধরনের ভিটামিন কম বেশি পাওয়া যায়। যেমন ভিটামিন এ, বি, সি, ডি, ও কে। যেটা অন্য কোন সবজিতে সবগুলো একসাথে পাওয়া যায় না। এটি শরীরে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। যে কারণে একাধিক সমস্যা দূর করে ও শরীর সুস্থ রাখে।
ক্যারোটিনয়েডস সমৃদ্ধ মিষ্টিআলু
ক্যারোটিনয়েডস নামের একটি উপাদান রয়েছে মিষ্টি আলুতে। যা শরীরের কোষের ক্ষয়রোধ করে। ভিটামিন ই ও সি ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং আল্ট্রাভায়োলেট রশ্নি থেকে ত্বকের সুরক্ষা প্রদান করে। ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ত্বক কালো হয়ে যাওয়া, র্যাস বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি প্রদান করে ও সুরক্ষা দেয়। বিজ্ঞানীরা একটি গবেষণায় প্রমাণ করেছেন যে বেগুনি রংয়ের মিষ্টি আলুতে anti-cancer এর উপাদান থাকে। এতে অ্যান্থোক্যায়ানিন থাকে। যা ব্লাড ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার ও গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার রোধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই উপাদানগুলো শরীরে ক্যানসারের কোষ মেরে ফেলে এবং ক্যান্সারের ফলে শরীরে কোষ নষ্ট হওয়ার পরিমাণ কমায় সংগৃহীত।
আরো পড়ুন
ডায়বেটিকস নিয়ন্ত্রন করে
অনেকে মনে করেন মিষ্টি আলু যেহেতু খেতে মিষ্টি, সেহেতু এটি ডায়াবেটিকস এর সমস্যার কারণ হতে পারে। কিন্তু তথ্যটি পুরোপুরি ভুল। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা এটি গবেষণা করে প্রমান করেছেন যে, মিষ্টি আলু ডায়াবেটিকস এর ক্ষতি না করে, বরং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ওষুধ হিসেবে কাজ করে। ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রনে রাখে এই মিষ্টি আলু। আমি আগেই বলেছি মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যেহেতু মিষ্টি আলুতে ফাইবার থাকে সেহেতু এটি ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। অনেকেই ডায়াবেটিস থাকলে মিষ্টি আলু খাওয়া থেকে এড়িয়ে যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে এটা উচিত নয়। অল্প পরিমাণে মিষ্টি আলু দিনে দু-একবার খাওয়া যেতে পারে। এতে শুধু সুগার নিয়ন্ত্রণ নয়, ডায়াবেটিসের রোগীদের কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কম থাকে। কারণ মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার উপাদানটি থাকে যেটি এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
Disclaimer
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের মিষ্টি আলু সম্পর্কে কিছু তথ্য। আশা করি আপনাদের ভালো লাগছে। এতক্ষণ কষ্ট করে লেখা টি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। লেখাটি সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। কথা হবে পরবর্তী পোস্টে। সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ!