শীত পড়তে শুরু করলে বাজারে দেখা মেলে নানা প্রকারের তরিতরকারি। এর ভিতর ফুলকপি, বাঁধাকপি, কাঁচা তেঁতুল, সিম, মুলা ধনেপাতা প্রভৃতি বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে এর ভিতরে ধনে পাতার গুরুত্ব অপরিসীম।
তরিতরকারির স্বাদ বাড়ানোর জন্য ধনে পাতা ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন প্রকার ভর্তার স্বাধ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে এ ধনেপাতা। এটি ছাড়া যেন সবকিছু অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তবে ধনেপাতা স্বধ বাড়ানোর সাথে সাথে রয়েছে বিশেষ কিছু ঔষধি গুন। যেগুলো আলোচনা করব।
Benefits of coriander leaves ধনেপাতার ভিতরে রয়েছে বিভিন্ন ঔষধি গুন। এটি মানুষের শরীরের রক্ত শোষণ করে। খাদ্য অভ্যাস এর সাথে সাথে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভারী ধাতু বিষাক্ত দূষণকারী পদার্থ জমা হতে থাকে। পরবর্তীতে দুরারোগ্য রোগ হিসেবে মহামারী আকার ধারণ করে। ধনেপাতা খাওয়ার ফলে এই ধরনের বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে নিষ্কাশিত হয়ে যায়। ধনেপাতা নিয়মিত হওয়ার ফলে মানসিক সমস্যা, ক্যান্সার, সহ বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময় করে। এই ধনেপাতা মানুষের শরীরে রক্ত প্রবাহ থেকে এসব ক্ষতিকর উপাদানগুলো দূর করে শরীরকে সুস্থ ও সতেজ করে রাখে।
আরো পড়ুন
ধনেপাতার ভিতরে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, লোহ, পটাশিয়াম সহ বেশ কয়েকটি উপকারী খনিজ উপাদান। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে। শুধু তাই নয় এটি অ্যান্টিসেপ্টিক এবং যে কোন চুলকানি ও চর্ম রোগের ওষুধ হিসাবে কাজ করে। দিল্লির একটি গবেষণায় জানানো হয়েছে রিউমেটিক আর্থ্রাইটিস রোগে আক্রান্ত যেকোনো প্রাণীর পায়ে ধনেপাতার রস প্রবেশ করালে তার শরীরের জ্বালা যন্ত্রনায় ফোলা ভাব দূর হয়ে যায়। এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়
আরো পড়ুন পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
সতর্কতাঃ ধনেপাতায় প্রচুর পরিমাণে ঔষধি গুণ থাকা সত্বেও একটি অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া ঠিক নয়। এই ধনেপাতায় থাকা এক ধরনের উদ্ভিদ তেল শরিরের বিভিন্ন অংশের ক্ষতিসাধন করে। বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত করে। অতিরিক্ত আকারে ধনে পাতা খেলে নিম্ন রক্তচাপ সৃষ্টি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে যাদের শরীরে উচ্চরক্তচাপ থাকে, তাদের ধনেপাতা খাওয়ার পরামর্শ দেয়। স্বাভাবিকভাবে ধনেপাতা খাইলে শরীরের উপকার বেশি হয়। কিন্তু অতিরিক্ত আকারে খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সাধিত হয়। পাকস্থলীর হজমক্রিয়া সহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সাধিত হয়। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত আকারে ধনেপাতা খাওয়া হইলে ভ্রূণের বা বাচ্চার শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি হয়ে থাকে।
সর্বোপরি এটা বলা যায় যে ধনে পাতার ভিতরে অনেক ওষুধি গুণ থাকা সত্বেও একটি অল্পমাত্রায় সেবন করা উচিত। খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে ধনেপাতার ব্যবহার করলেও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রাখা উচিত।