১০ ধরণের ধরনের শাক সবজির উওপকারিতা ২০২৪ | Benefits of 10 types of vegetables 2024

 

Free Fire Max redeem codes today



1. FF78-9ABC-DEFG
2. FFHI-JKLM-NOPQ
3. FFRS-TUVW-XYZA
4. FF12-3GHJ-45KL
5. FFST-UVWX-YZAB

পুদিনা পাতার পরিচিতি!

আমাদের সকলের পরিচিত এই পুদিনা পাতা। এটি একটি বিশেষ পুষ্টিকর সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই এটি পাওয়া যায়। হাজারো পুষ্টিগুণে ভরা এই পদিনা পাতা।



খাদ্য ও পুষ্টি প্রতিবেদক!

 পুদিনা পাতা তে এক ধরনের ফ্লেভার পাওয়া যায়। বিশেষ করে যেটি আমরা চুইংগামের পেয়ে থাকি। মুখ ফ্রেশ রাখতে এই পুদিনা পাতার জুড়ি নেই। বিশেষ করে ফেসওয়াশ পেস্ট ইত্যাদিতে আমরা যে ঝাঁজাল ফ্লেভার টি পেয়ে থাকি এটি হলো পুদিনা পাতার ফ্লেভার । গরমকালে বাইরে থেকে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি আসার পর যদি এক গ্লাস পুদিনা পাতার শরবত খাওয়া হয় তো নিমিষেই ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। এবং সতেজ ও প্রাণবন্ত অনুভূতি পাওয়া যায়।

পুদিনা পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যেটি হূদরোগ অ্যালজাইমারস এর ও ক্যান্সারের মতো ভয়ঙ্কর রোগের হাত থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে। এছাড়াও এটিতে পাওয়া যায় অ্যাসেনশিয়াল অয়েল। যেটি বিভিন্নভাবে আমাদের শরীরের বিভিন্ন কাজ করে থাকে।

জেনে নিন পুদিনা পাতা খাওয়ার কয়েকটি উপকারিতা!

Free Fire Max redeem codes today


1. FF78-9ABC-DEFG
2. FFHI-JKLM-NOPQ
3. FFRS-TUVW-XYZA
4. FF12-3GHJ-45KL
5. FFST-UVWX-YZAB

হজম শক্তি বাড়াতে!

খাবারের পর আপনার কি বদহজম হয়ে থাকে? বিভিন্ন প্রকার ওষুধ খেয়েও কোনো উপকার পাচ্ছেন না! আপনার জন্য পুদিনা পাতায় সবথেকে বেশি কাজ করবে! পুদিনা পাতাতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট  বা ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টস থাকে। যা আমাদের শরিরে হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পুদিনা পাতার সুন্দর গন্ধ এবং মুখের ভিতরে থাকা লালা গ্রন্থি থেকে লালা পুদিনার মধ্যে থাকা মেন্থল আমাদের এই খাদ্য পরিপাকের জন্য প্রয়োজনীয় উৎসেচক বা এনজাইমগুলির নিঃসরণের  কাজ করে থাকে। এছাড়াও এটি খাদ্যনালী সংকোচন প্রসারণ এর ক্ষমতা বাড়ায় ও বদহজম দূর করে। এ জন্যই পুদিনা পাতাকে  রান্না করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা হয়। খাবার পরে আপনি যদি প্রতিদিন এক কাপ করে মিন্ট টি বা পুদিনা চা খান তাহলে খুব শীঘ্রই হজমের সমস্যা থেকে উপশম পাবেন।

ত্বকের যত্নে পুদিনা পাতার বিকল্প নেই

 পুদিনা পাতার রস আমাদের শরীরের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। এটি ত্বক পরিষ্কার রাখে ও চুলকানি নানারকম ইনফেকশনের হাত থেকে আমাদের মুক্তি দেয়। পুদিনার রস অ্যান্টিইনফ্যামেটরি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এতে থাকা স্যালিসাইলিক এসিড সিম্পল ব্রণের হাত থেকে মুক্তি দেয় এবং ব্ল্যাকহেড দূর করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে এবং ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করে দেয়।  ত্বকে ঠান্ডা রাখতে এবং আরামদায়ক সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে এবং অনুভূতি প্রযুক্ত ক্লিনসার টোনার লিপবাম ও ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনাকে দারুণ উপকার দিবে।

Sceptre 34-Inch Curved Ultrawide WQHD Monitor 3440 x 1440 R1500 up to 165Hz DisplayPort x2 99% sRGB 1ms Picture by Picture, Machine Black 2023 (C345B-QUT168)

সর্দি কাশি

সর্দি কাশির হাত থেকে বাঁচতে পুদিনা পাতার বিকল্প নেই ।আপনি যদি সর্দি-কাশি হাত থেকে বাঁচতে চান তাহলে অবশ্যই ঘরের আঙিনায় পুদিনা পাতার চাষ করুন। আপনার যদি সর্দি ধাত থাকে তাহলে সর্দি  চলাকালিন সময় গরম জলে এক ফোঁটা মিন্ট ইনফ্লেমেটরি ফেলে তাতে ভাপ নিন দেখবেন দ্রুত আপনি উপকার পাচ্ছেন। পুদিনার ঝাঁঝালো ঘ্রাণ সর্দি সময় গলা ও ফুসফুসে জমে থাকা কফ দূর করে দেয় এবং শ্বাসনালী ক্লিয়ার রাখে। পুদিনার অ্যান্টিইনফ্যামেটরি বা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুন কাশির সময় শ্বাসনালী জ্বালা কমিয়ে আরাম প্রদান করে। তাছাড়া হাঁপানি রোগীদের ওষুধ হিসেবেও এই পুদিনা পাতা ব্যবহার করা যায়। খুব তাড়াতাড়ি বমি ভাব কাটাতে সাহায্য করে এছাড়াও যাদের মাথায় সমস্যা আছে তারা উপযুক্ত সময় কপালে লাগিয়ে রাখলে আরাম পাবেন।



মুখের যত্নে! 

মুখের যত্নে পুদিনা পাতার গুরুত্ব অনেক বেশি ।এটি মুখের মধ্যে থাকা জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে। এর ভেতরের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ক্ষমতা মুখের দুর্গন্ধ দূর করে ও দাঁতের ক্ষয়রোধ দাতে জ্বালাপোড়া রোধ করে। জিভ পরিষ্কার রাখে এবং মাড়িকে সুস্থ রাখে । দাতের যে কোন সমস্যা দূর করার জন্য রোজ কয়েকটা পুদিনা পাতা কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন এছাড়াও তুথপেষ্ট কেনার সময় তাতে পুদিনা আছে কিনা দেখে কিনুন ।আজকাল টুথপেস্ট পুদিনা পাতা ব্যবহার করা হয়।

পুদিনা পাতার রিফ্রেশ অনুভূতি ও সুগন্ধির জন্য এটি বেশি জনপ্রিয়ি  এবং এর তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে অধিক মাত্রায় গ্রহণে যৌন জীবনের জন্য একটি মোটেও ভালো নয়। এটি শরীরের যৌন উদ্দীপনা সৃষ্টি কারী হরমোন টেস্ট এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। যা শরীরকে ঠাণ্ডা করে দেয় এবং উত্তেজনা  কমিয়ে দেয়। তাই সুগন্ধির জন্য পুদিনা পাতা দিয়ে আদা খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে।

আজকের পোস্টটি এই পর্যন্তই, আশা করি সবার ভাল লাগছে ।এতক্ষণ লেখা টি কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং এটি সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। কথা হবে আগামী পোস্টে ।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকেন।

 ধন্যবাদ সবাইকে

ঘাটকোল শাক এর পরিচিতি! এটি কেন খাবেন? যেনেনিন এর উপকারিতা!




আরো পড়ুন 

বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই এই ঘাটকোল শাক পাওয়া যায়। এটি খুবই জনপ্রিয় একটি শাক। যেটি ঔষধি গুণে ভরপুর।বাংলাদেশের  আনাচে-কানাচে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এই শাকটি বেশি পাওয়া যায়। এটি দেখতে কিছুটা কচুশাখের মত ।স্থানীয় ভাষায় একেক জায়গায় একেক রকম নাম দেওয়া হয় এই ঘাটকোল এর। তবে বেশিরভাগ অঞ্চলে এটিকে ঘাটকোল নামে পরিচিত।

ঘাটকুল এক ধরনের ভেজষ জাতীয় উদ্ভিদ ।এর ডগা পাতা সবকিছুই খাওয়া যায় এবং অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। ঘাটকোল গাছের ডাটা ১০ থেকে ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এর রং কিছুটা খইরি হয়ে থাকে । এর পাতায় সবুজ এবং তিন অংশে বিভক্ত তিনকোনা খাজ কাটা হয়ে থাকে ।ঘাটকোল এর ফুল লাল হয়ে থাকে ,দেখতে অনেকটা কলমি ফুলের মত ।এবং আগস্ট মাসের দিকে ঘাটকোল গাছে ফুল আসছে দেখা যায়।

বাংলাদেশ এটি বাণিজ্যিকভাবে বেশি চাষ না হলেও, অস্ট্রেলিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ ও উত্তর আফ্রিকা দেশগুলোতে এই ঘাটকুল প্রচুর পরিমাণে জন্মায়। তাছাড়া বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রায় সর্বত্রই এটি জন্মাতে দেখা যায়। তবে বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক চাষ হয় ভারতে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ,টাঙ্গাইল ,সিলেট ,খুলনা ,বাগেরহাট, যশোর ,কুষ্টিয়া, মাগুরা ,নড়াইল, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা,  ঢাকা সিটিতে ও এটি বেশি পরিমাণে জন্মাতে দেখা যায়। তবে এদের ভিতর চুয়াডাঙ্গায় অঞ্চলে প্রাকৃতিক ভাবে এটি বেশি জন্মাতে দেখা যায়।

ঘাটকুল শাকের উপকারিতা!

ঘাটকোল শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, সহ বিভিন্ন খনিজ পদার্থ থাকে। যা দেহের রোগপ্রতিরোধ সহ বিভিন্ন পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করে। এবং এর রয়েছে বিভিন্ন ঔষধি গুন। আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য, তার চিরঞ্জীব বনৌষধি গ্রন্থে উল্লেখ করেছিলেন যে, এটি অতিশয় উত্তেজক ও দংর্শক, রক্তস্রাব ও বিরচন। এবং বিষাক্ত সাপের কামড়ে ঘাটকুল শাকের মূল, বেটে দংশিত স্থানে লাগালে এবং কিছুটা খাওয়ালে রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। মৌমাছি, বোলতা, ভীমরুল, কামড়ালে যন্ত্রণা উপশমের মহৌষধ হিসেবে এই ঘাটকুল  বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এর মূল, ক্ষতস্থানে লাগালে যন্ত্রণা থেকে উপশম পাওয়া যায়। ঘাটকোল খেলে মানুষের স্টোমাক ক্লিয়ার থাকে এবং রক্তস্রাব কমায়। পেটের ব্যথা হলে কলার সাথে এটি খেলে পেটের সকল সমস্যার সমাধান হয় ।দুর্বলতা কাটায়, হজমে সাহায্য করে, এটি হাড় ক্ষয় রোধ করে, ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে উজ্জলতা ফিরিয়ে আনে, ক্ষুধামন্দা অরুচি ভাব কমায়, মুখে রুচি আনে। এবং শরীরে কোন ব্যাথা থাকলে সেটি উপশম ঘটে। পশু পাখি যেমন গরু মহিষ ছাগল ভেড়া গায়ে ঘাঁ হলে ঘাটকোল এর মুল বেটে পেস্ট তৈরি করে সেখানে ব্যবহার করলে অবিলম্বে সমস্যা সমাধান হয়ে যায়।

আরো পড়ুন

ঘাটকুল শাকের বেশি প্রচলন অর্থাৎ বেশি খাওয়া হয় ডাটা ।তবে এর পাতা বেটে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। ঘাটকোল শাকের ডাটা পাতাসহ রসুন কালোজিরা শুকনো মরিচ ভেজে পাতার ভর্তা করে খাওয়া হয়্। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি রয়েছে হাজারো ঔষধি গুন। বাংলাদেশের টাঙ্গইল অঞ্চলের মানুষ খুদের ভাতের সাথে এই শাকের ভর্তা খেতে বেশি পছন্দ করে। এ ছাড়াও অনেকে ডাটা সহ ছোট ছোট করে কেটে শুটকি মাছ বা অন্যান্য মাছ দিয়ে রান্না করে খায়। পরিশেষে বলা যায় যে ঘাটকুল শাক খুবই উপকারী একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন খাবার। যেটা আমাদের অবশ্যই খাওয়া উচিত। শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই শাকের জুড়ি মেলা ভার।

বন্ধুরা আমাদের আজকের লেখাটি এখানে শেষ করছি। আশাকরি ভালোলাগছে। লেখাটি সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন।

ধন্যবাদ 

লেটুস পাতা কেন খাবেন? খাইলে কি হয়? জেনে নিন বিস্তারিত আলোচনা!



লেটুস পাতা খুবই জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু একটি সবজি। হাটে বাজারে সর্বত্রই পাওয়া যায় এই লেটুসপাতা। লেটুস পাতা আঁশযুক্ত একটি সবজি । কাঁচা খাওয়া যায় এবং রান্না করেও খাওয়া যায়। লেটুস পাতা চাষ প্রথম শুরু হয়েছিল মিশরে। মিশরীয়রা এই পাতাটি শাক হিসেবে চাষ করত এবং তারা এই পাতার বীজ থেকে তেল তৈরি করত। এবং পরবর্তীতে এই পাতার চাষ গ্রীক ও রোমানরা শুরু করে। বর্তমানে প্রায় প্রতিটি দেশেই এই পাতার কম বেশি চাষ করা হয়। এই পাতার রয়েছে নানাবিধ গুন। যে কারণে ভোজন প্রিয় মানুষেরা তাদের খাবারের তালিকায় এই সবজি রাখে।

লেটুস পাতার উপকারিতা

১/ লেটুসপাতা একটি আঁশযুক্ত সবজি যেটা সহজে হজম হয় ।এবং এতে রয়েছে অল্প পরিমাণে কোলেস্টেরল যা আমাদের হূদযন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

২/ লেটুস পাতা তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন।  যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। তাছাড়া যাদের শরীরে আয়রনের অভাব রয়েছে, তারা লেটুস পাতা খেয়ে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে।

৩/ লেটুসপাতা তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। আমরা সবাই জানি প্রটিন আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রোটিন দেহের পেশী গঠনে জোরালো ভূমিকা রাখে। খাবারের মেনুতে অথবা সালাদে নিয়মিত লেটুস পাতা রাখলে আমাদের প্রোটিনের চাহিদা মিটবে।

৪/ যাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব রয়েছে তারা লেটুসপাতা খেতে পারেন। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম  দাঁত এবং হাড়ের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে, এবং ক্যালসিয়াম মানুষের শরীরে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান। তাই আমাদের ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি পূরণ করতে হলে অবশ্যই লেটুস পাতা খেতে হবে।



৫/ লেটুসপাতা তে রয়েছে কয়েক ধরনের ভিটামিন বি। এটা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত দরকারি। ভিটামিন বি এর চাহিদা পূরণ করতে লেটুস পাতার বিকল্প নেই । ঘরের আঙিনায় আমরা এই লেটুস পাতা চাষ করে এসব ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে পারি।

৬/ এই পাতা থেকে যথেষ্ট পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়। পটাশিয়াম রক্তের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি পুষ্টি উপাদান । তাই আমাদের প্রতিদিনই লেটুস পাতা খাওয়া উচিত, এবং সেইসাথে এটি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এতে বিটা ক্যারোটিন ও লুটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে ।যা ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে। এবং শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এছাড়াও আরো অনেক গুণ রয়েছে এই লেটুসপাতায়। তাই আমাদের নিত্যদিনের খাবারের তালিকায় সবজি হিসেবে বা সালাদ হিসেবে লেটুসপাতা রাখা যেতে পারে। তাহলে একদিক থেকে যেমন খাবারের স্বাদ বাড়াবে, তেমনি সেই সাথে আমরা পাব অনেক প্রকারের ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান।


তো বন্ধুরা আজকের লেখাটি এই পর্যন্তই ।আশা করি লেটুসপাতা সম্পর্কে আপনারা সবাই বুঝতে পারছেন। লেখা টি ভাল লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এবং এতক্ষন ধরে কষ্ট করে লেখা টি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

কলমি শাক এর পরিচিতি!

কলমি শাক আমাদের সবার পছন্দের একটি খাবার। এটি সাধারণত ভেজা মাটিতে অথবা পানিতে জন্মাতে দেখা যায়। বাংলাদেশের সব জায়গাতেই প্রাই এটি জন্মায়। তবে এটি মিষ্টি এলাকার বেশি জন্মে এবং অতিরিক্ত লবণে এটি মারা যায়। তো আজকে আমরা আলোচনা করব কলমি শাক নিয়ে । 

কলমি শাকে কি কি পুষ্টি উপাদান আছে? এটি খেলে কি হবে? কেন এটি বেশি জনপ্রিয়? 

কলমি শাকের ডাটা গুলো ২ থেকে ৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। প্রতিটা ডাটার গিট থেকে শেখর বের হয়। এবং এই শাকের ডাটার ভিতরে ফাঁপা থাকায় এটি পানিতে ভেসে থাকে। কলমি শাকের পাতা অনেকটা লম্বা ত্রিকোণাকৃতির হয়েথাকে।  এবং ৫ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বড় হতে পারে । এটি ২ থেকে ৮ সেন্টিমিটার চওড়া হয়ে থাকে। কলমি শাকের ফুল অনেকটা ট্রাম্পেট আকৃতির মত। এটি দেখতে সাদা  হলেও নিচের অংশে কিছুটা বেগুনি রঙের হয়ে থাকে। এই শাকের ফুলের বীজ হয় এবং সেই বীজ থেকে পুনরায় নতুন চারা জন্মে।  তাছাড়া এই শাকের প্রতিটা গিট থেকে শেখর বেরিয়ে নতুন চারা হয়।

আরো পড়ুন 

কলমি শাকের পুষ্টিগুণ!

কলমি শাকের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন ,লৌহ ,এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ। যা মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি। কলমি শাকে ভিটামিন বি ১ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। যা কচু শাক, পুঁই শাক, থানকুনি থেকেও অনেক বেশি। যেটি থায়ামিন এর ঘাটতি পূরণ করে।

 কলমি শাকে যেসব পুষ্টি উপাদান রয়েছে তার একটি তালিকা দেওয়া হল!

ক্যালোরি ৩০ কিলো , ভিটামিন সি ৪৯ মিলিগ্রাম, আমিষ ৩.৯ গ্রাম,  পানি ৮৯.৭ গ্রাম, ক্যালসিয়াম 0. ৭১ মিলিগ্রাম, লৌহ 0.৬ গ্রাম, নাায়াসিন ১৩ মিলিগ্রাম, লোহা ০.৬ গ্রাম,  শ্বেতসার ৪.৪ গ্রাম।

কলমি শাকে থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় ও দাঁতের শক্ত ও মজবুত গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের জন্য কলমি শাক অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। যেটি পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে । এই শাকের পাতা এবং ডাটায় প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে। যেটি আমাদের খাদ্য হজমে সহায়তা করে। পরিপাক ও বিপাক প্রিয়া সম্পাদনের বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত কলমি শাক খাওয়া উচিত। এতে কোষ্টকানিষ্ট দূর হয় শরীরকে সুস্থ রাখে। তাছাড়া কলমি শাকে থাকা ভিটামিন বি ১  স্নায়ুতন্ত্র কে সরল এবং স্বাভাবিক রাখে, এবং দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি সাধনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই কলমি শাক।


কলমি শাকের আরো রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন ।জেটি থেকে আমাদের শরীরে ভিটামিন-এ তৈরি হয়ে থাকে, এবং আমরা সবাই জানি ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে। সুতরাং কচু শাক এর মত কলমি শাক ও খাওয়া যাবে চোখের সমস্যার জন্য । যে সব প্রস্তুতি মায়েদের শরীর দুর্বল, এবং বাচ্চার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ খেতে দিতে পারে না সে সব মায়েদের ক্ষেত্রে কলমি শাক বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ঘি এর সাথে কলমি শাকের রস মিশিয়ে সকালে ও বিকালে নিয়মিত খাওয়ালে প্রসূতি মায়েদের বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও কলমি শাকে ক্যালসিয়াম এর কারনে দাঁত, মাড়ি মজবুত করে।  ভিটামিন সি এর কারনে সর্দি-কাশি ও ঠান্ডার হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।শরীরে কোথাও ফোড়া হলে কলমি শাকের পাতা ও একটুি আদা ফোড়ার চারপাসে লাগালে ফোড়া গলে যায় এবং শুকিয়ে যায়। তাছাড়া পোকামাকড় মৌমাছি কামড়ালে, কলমি শাকের পাতার রস করে কামড়ানো স্থানে লাগালে তৎক্ষণাৎ যন্ত্রণা কমে যাবে। এবং কলমি শাক বেশি করে রসুন দিয়ে ভেজে গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরে যে পানি আসে এমন অবস্থায় তিন সপ্তাহ খাওয়ালে পানি পরিমান কমে যাবে।

কলমি শাকের হাজারো পুষ্টিগুণ থাকলে ও এর কিছু অপকারিতা আছে ।অতিরিক্ত মাত্রায় কলমি শাক খেলে আপনার ডায়রিয়া হতে পারে এবং যাদের পরিপাক তন্ত্রের সমস্যা তারা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এভাবে কলমি শাক খাওয়া উচিত নয়।

আরো পড়ুন ফুলকপি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে 

তো বন্ধুরা, আশাকরি কলমি শাক সম্পর্কে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারছেন। এতক্ষণ কষ্ট করে লেখা টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। কলমি শাক সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মন্তব্য থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। কথা হবে পরবর্তী  পোস্টে। সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।

 ধন্যবাদ সবাইকে

পালং শাক কেন খাবেন? জেনে নিন পালং শাকের বিভিন্ন পুষ্টি গুণ!



পালংশাক আমাদের সবার পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি খাবার। এটি সাধারণত শীতকালে পাওয়া যায়। তবে বর্তমান সময়ে প্রায় বারো মাসেই পাওয়া যায়।পালং শাক খেতে যেমন সুস্বাদু ,তেমনি এতে রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ। তাই আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পালংশাক রাখা যেতে পারে।

 আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে, জেনে নিন পালং শাকের অসাধারণ কিছু গুণাগুণ। যা আপনার পালন শাকের প্রতি ধারণাই বদলে দিতে পারে!

পালন শাকের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ,এবং বিটা ক্যারোটিন ।যা আপনার কলোন এর কোষগুলোকে সুরক্ষা প্রদান করে।

পালং শাক নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পালং শাক রাখতে পারেন।

পালং শাকে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন-সি। যে কারণে শরীরে রক্তস্বল্পতা দূর করে এবং শরীরকে সুস্থ এবং সবল করে তোলে।

বাতের ব্যথার অস্টিওপোরোসিস, মাইগ্রেশন, মাথাব্যথা, এই সকল সমস্যার সমাধান পালং শাক এটি প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে। তাই যাদের এই সমস্যা গুলো আছে তারা নিয়মিত পালং শাক খেতে পারেন। এতে আপনার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। তাছাড়া পালং শাকে পেট পরিষ্কার রাখে। যাদের পেটে সমস্যা বা বদহজম হয়  তারা এটি খেলে দারুন উপকার পাবেন। পালং শাক শরীরের রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে এবং দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।

কিডনিতে পাথর থাকলে তা গুড়ো করতে সাহায্য করে এই পালং শাক।এবং দেহ ঠান্ডা  রাখে ।যাদের শরীরে তাপ বেশি অর্থাৎ, সব সময় শরীর গরম থাকে তাদের ক্ষেত্রে পালন সাক মহৌষধ হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত পালং শাক খেলে আপনার শরীর ঠান্ডা হবে এবং শরীরে সুস্থতা প্রদান করবে।

অনেকে আছে যাদের অনেক মেদ বৃদ্ধি ও দুর্বলতায় শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি হয় ,তারা পালন পাতার রস খেলে বিশেষ উপকার পাবেন এবং পালংশাক কোষ্ঠকানিষ্ঠ দূর করে। তাছাড়া পালংশাকে প্রায় ১৩ প্রকার ফাভোনয়েডস আছে যা ক্যানসার প্রতিরোধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।


পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস থাকে। যে কারণে মহিলাদের মাসিক জনিত সমস্যা দূর করে ।যাদের এই সমস্যা হয় তাদের ক্ষেত্রে পালংশাক খুবই উপকারী একটি খাবার। এছাড়াও পালং শাক দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পালংশাক খুবই উপকারী একটি খাবার।

চোখের সুস্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে পালং শাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার । চোখের সুস্বাস্থ্য  নিয়ন্ত্রণ করার জন্য খাদ্য হিসেবে প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি গ্রহণ করা দরকার। এবং এই সবুজ শাক সবজির মধ্যে অন্যতম হলো পালং শাক। কারণ পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি এর উপস্থিতি। এটি বিভিন্ন প্রকার চোখের অসুখের ঝুঁকি হ্রাস করে ।

আরো পড়ুন

পরিশেষে বলা যায় পালংশাক একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর খাবার। যেটা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সুতরাং যারা প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রেখে খাবার খায়, তাদের ক্ষেত্রে পালং শাক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় এই পালংশাক অবশ্যই রাখতে পারেন।

 তো বন্ধুরা আজকের পোষ্টে এই পর্যন্তই ,আশা করি সবার ভালো লাগছে। এতক্ষণ কষ্ট করে লেখা টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। কথা হবে আগামী পোস্টে, সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।

ধন্যবাদ

লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন!


লেবু যা আমাদের সবার পরিচিত একটি ফল। এটি সারা বছরই প্রায় পাওয়া যায়। লেবু এমনই একটি ফল, যেটি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। লেবুর জুস করে, চায়ের সাথে মিশিয়ে, অথবা সালাদের সাথে মিশিয়ে খাওয়া হয়। খাবারের স্বাদ বাড়াতে লেবুর বিকল্প আর কিছুই নেই। লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল, যার প্রতি ৫৮ গ্রামে ৩০ মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন সি থাকে। আর আমরা তো সবাই জানি ভিটামিন-সি সুস্বাস্থ্যের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি এর অভাবে শরীরে বিভিন্ন প্রকার রোগ হতে পারে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।আজকের এই লেখাটির মাধ্যমে আমরা লেবুর উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব।কি কি উপকার আছে? কেন লেবু খেতে হবে? এবং কিভাবে খেতে হবে ?অতিরিক্ত লেবু খেলে কি হবে? 

লেবুর উপকারিতা!

লেবুতে ভিটামিন সি এবং ফ্লেভোনয়েড এর একটি দুর্দান্ত উৎস ।যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, এবং আমরা সবাই জানি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলি রেডিক্যাল সরিয়ে ফেলতে  বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যা শরীরের কোষের ক্ষতি করে থাকে। এই উপাদানগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও সুস্বাস্থ্য এবং সুস্থতা বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। নিচে লেবু খাওয়ার কিছু সুবিধা আলোচনা করা হলো।

স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করে লেবু!

২০১২সালের এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা প্রকাশ করেন যে সাইট্রাস ফলের ফ্ল্যাভোনয়েডগুলি মহিলাদের মধ্যে ইসকেমিক স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ৭০,০০০ মহিলাদের উপর ১৪ বছরের একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, যারা সব থেকে বেশি সাইট্রাস ফল খেয়েছেন তাদের মধ্যে অত্যন্ত ইসকেমিক স্ট্রোকের ঝুঁকি ১৯ শতাংশ কম ছিল। এবং এটিকে সবথেকে সাধারণ স্টক বলে গণ্য করা হয়। যখন রক্ত জমাট বাঁধা মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ কে বাধা সৃষ্টি করে, তখন এটি হতে পারে। ২০১৯ সালে আরেকটি পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, দীর্ঘমেয়াদী ফ্ল্যাভোনয়েড যুক্ত  খাবারে নিয়মিত ব্যবহার ক্যান্সারের কার্ডিও ভাসকুলার রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। তবে সেখানে বলা হয়েছে যে ব্যক্তিরা প্রচুর ধূমপান করেন অথবা মদ্যপান নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে তাদের উপকারের সম্ভাবনা অনেক কম।

(১) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে!

২০১৪ সালের একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এটি প্রমাণ করেছিলেন যে, যেসব মহিলারা নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করেন এবং প্রতিদিন লেবু পানি পান করেন তাদের রক্তচাপ অন্য মহিলাদের তুলনায় অনেক কম। এবং তারা এটি প্রমাণ করেছে যে নিয়মিত লেবুর পানি পান করলে শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

আরো পড়ুন রোজা রেখে পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা 

(২) সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর ত্বকের জন্য লেবুর গুরুত্ব!

ভিটামিন সি ত্বককে এর কোলাজেন সিস্টেম গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ  করে সূর্যের এক্সপোজার ধূষণ বয়স এবং বিভিন্ন কারণে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তবে বেশ কিছু গবেষণায় বিজ্ঞানীরা প্রমান করেছেন যে, প্রাকৃতিক ভাবে ভিটামিন-সি গ্রহণ করা,  অথবা সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করা এই ধরনের ক্ষতি রোধে লেবু বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং সুস্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের জন্য আমরা অবশ্যই লেবু ব্যবহার করতে পারি।

(৩) হাঁপানি রোধে লেবুর ব্যবহার

যাদের হাঁপানি রোগের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে লেবু একটি ঔষধ হিসেবে কাজ করে। হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি, এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান বেশি বেশি সেবন করা উচিত।

(৪) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

লেবুতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত হওয়ার কারণে সাধারণ জ্বর সর্দি জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। ভিটামিন-সি গ্রহণের ক্ষেত্রে সব সময় প্রাকৃতিক উপাদানটি বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে। এবং এটি বিজ্ঞানীরা গবেষণায় প্রমাণিত করেছেন ।প্রাকৃতিক উপাদান গুলি যেভাবে শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করে, অন্য কোন পরিপূরক তা কোনোভাবেই করতে পারে না । তাই শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি মেটাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশি বেশি করে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বিশেষ করে লেবু খাওয়া উচিত।

(৫) ওজন কমানো

আরো পড়ুন 

২০০৮ সালে বিজ্ঞানীরা ২০ জন মানুষের উপর একটি গবেষণায় প্রমাণ করা হয়েছিল যে, তাদের মধ্যে ১০ জনকে লেবুসহ খাবার দেওয়া হয়েছিল এবং বাকি  ১০ জনকে লেবু ছাড়া খাবার দেওয়া হয়েছিল । যারা লেবুসহ খাবার খেয়ে ছিল তাদের তুলনায় যারা লেবু ছাড়া খাবার খেয়ে ছিল তাদের ওজন অনেক বেশি ছিল। তবে লেবু সেবনের ওজন হ্রাস পায় কিনা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের দ্বিমত ও রয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত যেসব গবেষণা করা হয়েছে তাতে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে লেবুতে ফ্যাট কমে।  যে কারণে নিয়মিত এটি সেবন করলে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমে গিয়ে শরীরের ওজন কমতে শুরু করবে।

(৬) লেবু সেবনের আরো কিছু উপকারিতা সংক্ষেপে তুলে ধরলাম।

হজম স্বাস্থ্য বজায় রাখতে লেবু বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন সি এর সাথে লেবুতে থাকে পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ফসফরাস ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি যা শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ঘাটতি পূরণ করে, সাধারণ সর্দি কাশির জীবাণুর সাথে লড়াই করে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ব্রণের দাগ  সহ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। লেবুর রস লিভার পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে খুব কার্যকর।কারণ এটি লিভারকে বিষাক্ত পদার্থগুলো বের করতে সাহায্য করে। হালকা গরম পানির সাথে লেবুর রস পান করা হলে জয়েন্ট ও পেশীর ব্যথা কমে যায় এবং দাঁতে ব্যথা ,দাঁতের জ্বালা, দাঁতের গোড়া পাকা এবং দাঁতের যেকোনো সমস্যায় গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে সেবন করলে এটি দ্রুত উপশম পাওয়া যায়।

(৭) লেবুর অপকারিতা!

আমরা জানি দিন এর পিছনে যেমন রাত থাকে, তেমনি সব ভালোর পিছনে কোন না কোন খারাপ থাকে। লেবুতে ভালো গুণগুলো বেশি থাকলেও এর কিছু অপকারিতাও আছে। লেবুর রস এসিড সমৃদ্ধ এবং বিজ্ঞানীরা এটি প্রমাণ করেছেন যে,  অতিরিক্ত লেবু পানি পান করার ফলে দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। যদিও এই পানি পান করা সুবিধা এবং উপকারিতা বেশি, তবে অতিরিক্ত মাত্রায় নয়। নিয়মিত এবং পরিমাণ মতো এটি পান করতে হবে। তাহলে উপকারিতা পাওয়া যাবে। তাছাড়া কিছু মানুষ বিশ্বাস করে যে লেবুর পানি গরম করে খেলে বহুমূত্র রোগের সমস্যা হয়ে থাকে, তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন এমন কোনো গবেষণা নেই যেখানে  প্রমাণ করে অতিরিক্ত লেবুর রস আমাদের ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা করতে পারে। তবে বেশি পরিমাণে পানি পান করলে এমন সমস্যা হতে পারে তার জন্য লেবু পানি দায়ী নয়। অনেকের মতে বেশি পরিমাণে লেবুর পানি সেবন করলে মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে, তবে বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুসারে আপনি যদি মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে বেশি পরিমাণে লেবুর পানি না খাওয়াটাই ভালো । হয়তোবা এটি আপনার মাইগ্রেনের সমস্যা সৃষ্টির কারণ হতে পারে, অথবা মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে সেই সমস্যাটা আবার ফিরিয়ে আনতে পারে।

Disclaimer

তো বন্ধুরা আজকের পোস্টটি এই পর্যন্তই। আশা করি সবার ভালো লাগছে। এতক্ষণ কষ্ট করে লেখা টি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। লেখাটি সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। কথা হবে আগামী পোস্টে সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন।ধন্যবাদ সবাইকে

Post a Comment

Previous Post Next Post