আদা কেনো খাবেন? যেনে নিন আদা খাওয়ার উপকারিতা। ভেজষ পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ কাচা আদা সম্পর্কে যানুন!
বাঙালিরা খাদ্যরসিক।খাদ্যরসিক বাঙালি খাওয়ার সময় খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণ বুঝে খেতে বেশি পছন্দ করে। আমাদের এই দৈনন্দিন খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য আদার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু এই আদা যে শুধু আমাদের মুখের স্বাদ বাড়ায় তা নয়,এর রয়েছে অনেক ঔষধি গুণাগুণ। এছাড়াও আদাতে রয়েছে আয়রণ,ক্যালসিয়াম, আয়োডিন, ভিটামিনসহ অনেক উপকারী মিনারেলস।
নিচে আদার কিছু উপকারিতা জানানো হলোঃ--
আদার উপকারিতাঃ--
অনেক সময় বদহজমের জন্য বমি হয় বা বমি বমি ভাব লাগে। আমাদের হাতের কাছেই আছে এই বমি বন্ধ হওয়ার তাৎক্ষণিক টোটকা। হ্যাঁ, আদা আমাদের এই বমি বা বমি ভাব দূর করে। সামান্য একটু আদা কুচি খেলে অথবা আদার রসের সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে খেলেই ব্যাস, সমস্যার সমাধান।
আগেই বলেছি, বাঙালিরা খাদ্যরসিক।খাদ্যরসিক এই বাঙালি শুধুমাত্র স্বাদ বুঝে খাওয়ার জন্য অনেক সময় উল্টাপাল্টা, ভাজাপোড়া খাবার খায়।যার কারণে অনেক সময় তারা এসিডিটিতে ভোগে।তখন আর কিছুই খেতে ইচ্ছা করে না। ক্ষুধামন্দার সৃষ্টি হয়। আদা খেলে এই এসিডিটি ও দূর হয় আর ক্ষুধামন্দার থেকেও মুক্তি মিলে। আদা আমাদের হজমশক্তি বাড়ায় আর হজমে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ১ কাপ পরিমাণ চা আদা দিয়ে খেলে আমাদের এই সমস্যা গুলো আর থাকবে না।
আবার আদা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও সাহায্য করে। শরীরের দুর্বলতা কাটাতেও আদা ভূমিকা পালন করে। শরীরের কোথাও কেটে গেলে ব্যথা হলে আদার রস সেখানে লাগালে ব্যথা কমে যায়। নিয়মিতভাবে আদা খেলে আমরা ছোট খাটো অনেক রোগের হাত থেকেই মুক্তি পেতে পারি। তাছাড়া অনেক সময় ধমনীতে প্লাক জমে রক্ত প্রবাহ বন্ধের সমস্যা হতে পারে। নিয়মিত ভাবে আদা খাওয়ার ফলে অনেক সময় এই সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি। আদা খেলে আমরা কাশি ও গলায় ব্যথা থেকে মুক্তি পাই।
আরো পড়ুন শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
আদার অপকারিতা ঃ--আদা খেলে যেমন আমাদের উপকার হয় তেমনি এর কিছু অপকারিতা ও আছে। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। তেমনি আদা আমাদের উপকার করে বলে অতিরিক্ত মাত্রায় এটি খাওয়া যাবে না।কারণ এর কিছু ক্ষতিকর দিক ও রয়েছে।
নিচে সেগুলো নিয়ে বলা হলোঃ--
আদা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।আর তাই যাদের শরীরের ওজন কম যেমন দৈহিক গঠন বা বয়সের অনুপাতে অনেকেরই ওজন কম হয়।বা নানা ধরনের রোগের কারণে ও অনেক সময় ওজন কম হয়ে থাকে। তাদের সবসময় অতিরিক্ত আদা খাওয়ার থেকে বিরত থাকা উচিত বা বিরত থাকতে হবে। আদা শরীরের PHP এর মাত্রা বাড়ায়। যে কারণে আদা খেলে ওজন কমে যায়। ডায়াবেটিকসের জন্য আদা উপকারি হলেও যারা হাই ব্লাড প্রেসার ও ডায়াবেটিকস এর ওষুধ খান নিয়মিত তাদের তো আদা একেবারেই খাওয়া যাবে না।কারণ আদা যেমন উপকার করে তেমনি ওষুধের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে ওষুধের ক্রিয়া নষ্ট করে দেয়। তাই যারা ওষুধ খাচ্ছেন তারা আদা খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আবার গর্ভবতী নারীদের জন্য ও আদা কে এড়িয়ে চলা উচিত।কারণ গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে আদা খুবই ক্ষতিকর। আদা সেবনের ফলে তাদের গর্ভজাত সন্তান ই ক্ষতির সম্মুখীন হয়। আবার হিমোফিলিয়া থাকলে তাদেরকে ও আদা খাওয়া বন্ধ রাখা উচিত।এই হিমোফিলিয়া টা একটা বংশগত রোগ।হিমোফিলিয়ার ওষুধ খাওয়াকালীন ও এই আদা খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। অথবা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তাই খেতে হবে। নাহলে আদা খেয়ে ঐ ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে রোগটা তো কখনোই ভালো হবে না উল্টে বেশি হবে।
আশাকরি আদা সম্পর্কে আপনারা একটু হলেও যানতে পেরেছেন। এতোক্ষন ধরে কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।