আসুন জেনে নিই পাথরকুচি পাতার ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে 2024-Btwontyone | ত্বকের যত্নে

 

যেসব রোগের মহৌষধ পাথরকুচি!



ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি, কারর পেটে ব্যথা হলে, বা আমাশয় হলে পাথরকুচির পাতা বেটে পেস্ট করে খাওয়ানো হতো ।এটি খেতে অনেকটা বিরক্তিকর হলেও, এর রয়েছে হাজারো ঔষধি গুনাগুন। তো বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব এই পাথরকুচি পাতা সম্পর্কে। এটি শুধু পেটে ব্যথা বা আমাশয় রোগের জন্য নয়,অনেক রোগের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে এই পাথরকুচি পাতা।

তো আসুন জেনে নিই পাথরকুচি পাতার ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে !

পেট ফাঁপা ,

অনেকেরই দেখা যায় উল্টোপাল্টা খাবার কারণে ,অথবা শারীরিক সমস্যার জন্য পেট ফুলে উঠছে। শক্ত, দম আটকে আসার মত পেটের অবস্থা। তো সে ক্ষেত্রে একটু চিনির সাথে দুই চা-চামচ পাথরকুচি পাতার রস একটু গরম পানির সাথে মিশিয়ে পান করলে  উপকার পাওয়া যাবে। 

কিডনির পাথর

 কিডনির পাথর অপসারণের বিশেষ ভূমিকা রাখে এই পাথরকুচি পাতা, এবং এটি কন্টিনিউ খাইলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা। তো যাদের এই সমস্যাটি আছে তারা নিয়মিত পাথরকুচির রস খেতে পারেন, এতে আপনার কিডনির সমস্যা সমাধান সহ আরো অনেক উপকার পাওয়া যাবে।

মৃগী রোগীদের জন্য মহৌষধ হিসেবে এটি কাজ করে ।যাদের এই রোগটি আছে তাদের বাড়িতে অবশ্যই পাথরকুচি গাছ লাগানো উচিত। কারণ যখন এই রোগটি শরীরে প্রভাব ফেলে, তখনই এক ফোঁটা পাথরকুচি পাতার রস গালে দিলে, তৎক্ষনাত তার এই রোগের উপশম হবে। অনেকে আছে বিভিন্ন পথ অবলম্বন করে ,এই রোগটির প্রভাব চলাকালীন সময়ে ।কিন্তু না জানা সত্তে কিছু করলে রোগীর উপকারের থেকে ক্ষতি বেশি হতে পারে। তো সে ক্ষেত্রে আমি সাজেশন দিব, মৃগী রোগীদের বাসায় অবশ্যই পাথরকুচি গাছ লাগানো উচিত । যাতে করে রোগ হওয়া কালীন সময়ে এটি ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

আরো পড়ুন 

পাইলস পাথরকুচি পাতার রসের সঙ্গে অল্প কিছু পরিমাণ গোলমরিচ মিশিয়ে নিয়মিত কয়েকদিন পান করলে পাইলস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আমার জানামতে পাইলস রোগের ওষুধ পাথরকুচি পাতার থেকে ভালো এবং স্বল্প দামে আর কিছু নাই। খুব সহজেই এটি আপনি আপনার বাসার ছাদে অথবা ফুলের টবে চাষ করে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।



ত্বকের যত্নে পাথরকুচির মত উপকারী উদ্ভিদ খুবই কমই আছে ।পাথরকুচির পাতায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যেটি শরীরের ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

জন্ডিস নিরাময় আজকাল অনেকেরই দেখা যায় জন্ডিস । পৃথিবীতে এটি একটি অত্যন্ত মারাত্মক এবং ঘাতক একটি রোগ। তো জন্ডিস রোগীদের জন্য একটাই সমাধান পাথরকুচির পাতা। লিভারের যেকোনো সমস্যা রক্ষা করতে তাজা পাথরকুচির পাতা রস করে পান করতে হবে। তাহলে আপনার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

শরীরে জ্বালাপোড়া যাদের শরীরে অত্যধিক পরিমাণে জ্বালাপোড়া করে তারা দু'চামচ পাথরকুচি পাতার রস এবং আধা কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে, দুইবেলা পান করলে তাদের এই জ্বালা পোড়ার উপশম হবে ।এবং সেইসাথে এটি শরীরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং মূত্রথলির বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এই পাথরকুচি পাতা।

তো বন্ধুরা আজকের এই পোস্টটি এ  পর্যন্ত। আশা করি সবাই বুঝতে পারছেন এই পাথরকুচি পাতার উপকারিতা। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।


আমলকি কেন খাবেন? এটি খাইলে কি হয়? জানুন আমলকি সম্পর্কে!





আমলকি খুবই জনপ্রিয় একটি ফল। শুধু ফল বললে ভুল হবে, ভেষজগুণে সমৃদ্ধ ফল। এতে রয়েছে হাজারো ঔষধি গুন, যে কারণে বাজারে এই ফলের প্রচুর চাহিদা। কথায় আছে প্রায় সকল রোগের কম-বেশি কাজ করে এই ফল। বর্তমানে সুপারফুড নামে একটি কথা বেশ প্রচলিত। অর্থাৎ যে খাবারে গুনাগুন অন্য খাবারের তুলনায় অনেক গুণ বেশি যেসব খাবারকে সুপার ফুড বলে গণ্য করা হয় ।আমলকি ও ঠিক তেমনি একটি খাবার। যা সুপার ফুড বললেও অনেক কম হয়ে যায়।

আমলকির পুষ্টি গুনাগুন

আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং আরো অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণায় জানা যায়, ১০০ গ্রাম আমলকিতে ভিটামিন সি পাওয়া যায় ৪৬৩ মিলিগ্রাম। অর্থাৎ আমলকিতে তিনগুণ এবং লেবুর থেকে ১০ গুণ বেশি ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ভারতের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী কে তারভাদি ও ভি আগতে 2007 সালের এক গবেষণায় প্রতিবেদনে বলেন যে, আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকা সত্ত্বেও এর এন্টি অক্সিডেন্ট গুনাগুন এর পেছনে অন্য পুষ্টি উপাদানের ভূমিকা অনেক বেশি। তাদের মতে অ্যালানিন নামক একটি পদার্থ এন্টিঅক্সিডেন্ট এর কার্যকারিতা বিশেষ ভূমিকা রাখে ।আমলকিতে আরো পাওয়া যায় পানিক্যাফোলিন ও পলিফেনল। যে কারণে ক্যান্সার লিভারের রোগ ডায়াবেটিস সহ অনেক রোগের প্রতিকার করে এই ফল।



আমলকির উপকারিতা!

মানুষের শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করতে আমলকির জুড়ি মেলা ভার। ভিটামিন সি এর অভাবে কার্ভি, মেয়েদের নিউ কেরিয়া, অর্শ ,প্রভৃতি রোগ হয়ে থাকে। তো এসব রোগের থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমলকি সবথেকে উৎকৃষ্ট ঔষধ। হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে এটি মহৌষধ হিসেবে কাজ করে। এছাড়া আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে আমলকির।

(১) হার্টের সমস্যা দূর করে

যাদের হার্টের সমস্যা আছে হুটহাট বুক ধড়ফড়ানি করতে শুরু করে ,তারা এই আমলকি খেতে পারেন। এটি আপনার বুকের ধরফরানি কমাতে সাহায্য করবে।এছাড়া আমলকি নিয়মিত খাওয়ার ফলে হার্টের স্বাস্থ ভালো থাকে।সুতরাং যাদের হার্টের সমস্যা আছে তার নিয়মিত আমলকি সেবন করতে পারেন। 

(২) আমলকি তৃষ্ণা মেটায়।

টাটকা আমলকি মানুষের তৃষ্ণা মিটিয়ে থাকে। অতিরিক্ত গরমে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিলে গলা মুখ সব শুকিয়ে আসে। এমন অবস্থায় পানির বিকল্প হিসেবে আমলকি খেতে পারেন। এটি অল্প সময়ের ভিতরে আপনার পানির তৃষ্ণা মিটিয়ে দিয়ে আপনাকে সতেজ করে তুলতে পারে।

(৩) ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বন্ধ করে।

অনেক মানুষ আছে যাদের ঘন ঘন প্রস্রাব বা বহুমূত্র রোগ আছে। যে কারণে পানি কম খেলেও বারবার প্রস্রাব করতে হয়। এটি শীতকালে হলে তো কথাই নেই। অনেক অস্বস্তি ও কষ্ট ভোগ করতে হয় এই রোগ হলে। আমলকি এই রোগের মহা ওষুধ হিসেবে কাজ করে। যাদের এই রোগটি আছে তারা অবশ্যই বেশি পরিমাণে আমলকি খেতে পারেন। এতে খুবই অল্প সময়ের ভেতর আপনার সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

(৪) মুখে রুচি বাড়ায়

অনেকেই আছে যাদের খোদা মন্দা রোগ আছে। অর্থাৎ ক্ষুধা কম লাগে। যে কারণে দিন দিন রোগা হয়ে যায়। এর প্রধান কারণ হলো মুখে রুচির অভাব। মুখে রুচি অভাব হলে কিছুই খেতে ভালো লাগে না। যে কারণে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিও পায় না। ক্ষুধামন্দা বা কম খিদে লাগা এই সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে আমলকি একটি মহা ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এটি খাওয়ার ফলে শরীরে যেমন বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান পায়, তেমনি নিয়মিত আমলকি খাওয়ার ফলে মুখের স্বাদ বৃদ্ধি পায়। যে কারণে খাদ্য খাবার ও বেশি পরিমাণে খাওয়া যায়।

Disclaimer

এছাড়াও পেটের পীড়া, কাশি, সর্দির জন্য খুবই উপকারী। আমলকি বৃত্ত সংক্রান্ত যেকোনো রোগ হলে আমলকি সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। বারবার বমি হলে শুকনো আমলকি একটা পানিতে ভিজিয়ে দুঘন্টা বাদে সেই পানি সাদা চন্দন ও চিনি মিশিয়ে সেবন করলে বমি হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েক টুকরো আমলকি খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি প্রখর হবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। আমলকি মানুষের খিদে বাড়ায় এবং শরীর ঠান্ডা রাখে। আমলকি বেটে তার সাথে একটু মাখন মিশিয়ে পেস্টের মতো করে মাথায় লাগালে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম চলে আসবে। যারা নিদ্রাহীনতায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ওষুধ ।কাঁচা আমলকি বেটে চুলে লাগালে চুল শক্ত হয় এবং চুল ওঠা বন্ধ হয়ে ও চুল পাকা বন্ধ হয়ে যাবে। এবং যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী একটি ফল।

আরো পড়ুন কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে

তো বন্ধুরা আজকের এই পোস্ট এ পর্যন্তই ।আশা করি আমলকি সম্পর্কে আপনারা অনেক কিছুই জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ ধরে লিখাটি কষ্ট করে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।ভাল লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। 


রসুন কেন খাবেন? এটি খাইলে কি হয়? জেনে নিন রসুনের হাজারো গুন!

https://www.sbdfoodtips.xyz/2022/06/rules-advantages-and-disadvantages-of.html



খাবারের স্বাদ বাড়াতে রসুনের বিকল্প আর কিছু নাই। এটি মসলার ভিতরে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মসলা। এক কথায় বলা চলে রসুন ছাড়া খাবারের সাতটায় পাওয়া যায় না। অনেকে আছে রসুন খেতে খুবই পছন্দ করে। আবার অনেকে আছে এটি খায়না। আজকে আমরা জানবো এই রসুন সম্পর্কে।রসুন কেন খাবেন? এর  উপকারিতা কি? এবং এটি খেলে কি ক্ষতি হয় ? তো দেরি না করে চলুন আমাদের মূল আলোচনায় চলে যাই!

রসুন খাওয়ার নিয়ম 

বাঙালি রসুন প্রিয় মানুষ। প্রায় প্রত্যেক মানুষই কমবেশি রসুন খেয়ে থাকে। এজন্য বাংলাদেশ এর চাহিদাও অনেক বেশি।রসুন এমন একটি মসলা যেটা আপনি চাইলে সহজে খেতে পারেন না। এটি খুব  শক্তিশালী তীক্ষ্ণ ঘ্রান যুক্ত একটি মসলা। এটা সবাই খেতে পারে না ।এজন্য মানুষ বিভিন্নভাবে এটি খেয়ে থাকে।

(১) কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খাওয়া

আপনি যদি রসুনকে কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খেতে পারেন তবে সব থেকে বেশি কাজ করবে। অর্থাৎ এটি সবচেয়ে ভালো পথ। কাঁচা অবস্থায় রসুন খেলে রসুনের গুন আপনার শরীরে বেশি কাজ করবে।

(২) সেদ্ধ করে খাওয়া

আপনি রসুন সেদ্ধ করে খেতে পারেন । এটাও খুব উপকারী। তবে কাঁচা অবস্থায় খেলে  ঝাঁঝালো একটা স্বাদ পাবেন। কিন্তু সিদ্ধ করে খেলে সেটা আর পাওয়া যায় না।তবে রসুন সেদ্ধ করে খেলে এর  অনেক পুষ্টি গুনাগুন পাওয়া যায়। অনেকে আছে যারা কাঁচা অবস্থায় রসুন খেতে পারে না। তাদের ক্ষেত্রে রসুন সেদ্ধ করে খাওয়াটাই ভালো। তবে কাচা অথবা সেদ্ধ যেভাবেই খান না কেন এর পুষ্টি উপাদান গুলো বেশিরভাগই অক্ষুন্ন থাকে।

(৩) রসুনের পানি পান করা

আপনি রসুনের কোয়া ছাড়িয়ে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানীয় পান করতে পারেন। এটি অত্যন্ত উপকারী ।এভাবে যদি আপনি খেতে না পারেন, তাহলে যেকোনো তরকারির সাথে মিসিও এটি খেতে পারেন। তবে এর ভিতরে সবথেকে কাচা অবস্থায় রসুন খাওয়া টা বেশি উপকার পাওয়া যাবে ।প্রথম অবস্থায় এটি খেতে না পারলেও একটু একটু করে খাওয়ার অভ্যাস করলে ধীরে ধীরে এটি অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে।

আরো পড়ুন রোজা রেখে পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা 

রসুন খাওয়ার উপকারিতা

রসুনের উপকারিতা অনেক। এটি আপনি যেভাবেই  খাবেন সেভাবেই উপকার পাবেন। নিচে রসুন খাওয়ার কয়েকটি উপকারিতা আলোচনা করা হলো।

১. রক্ত পরিষ্কার করতে 

রক্ত পরিষ্কার করতে রসুন বিশেষ ভূমিকা পালন করে। প্রথমে রসুনের কোয়া ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে নিন ।তারপর এক গ্লাস পরিমাণ পানি গরম করে নিন। তারপর এই গরম পানির ভিতর কাঁচা রসুনের এগুলো ছেড়ে দিন ।এক মিনিট অপেক্ষা করে তারপর রসুন যুক্ত পানি পান করে নিন ।এটা নিয়মিত করলে আপনার শরীরের রক্ত পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি তকও ভালো থাকবে।

২. রসুন খেয়ে ওজন কমানো সম্ভব

আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম পানির সাথে দুই কোয়া রসুন মিশিয়ে তার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে সেবন করেন, তাহলে আপনার শরীরের মেদ কমাতে থাকবে। এবং এভাবে কন্টিনিউ করলে আপনার শরীরে ওজন অনেকটাই কমে যাবে। এবং শরীরে একটি সতেজ অনুভব আসবে।

৩. সর্দি বা জ্বর মাথা ব্যাথা নিরাময় করে।

আমাদের ভিতর অনেকেই আছে যারা কয়েকদিন পরপরই সামান্য আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে জ্বর বাস সর্দিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ওষুধ। সর্দি কমাতে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার একটু একটু করে রসুনের কোয়া আপনাকে খেতে হবে। তাহলে এটি উপশম পাওয়া যাবে।

৪. হৃদ রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে 

প্রতিদিন দুই থেকে তিন কোয়া রসুন পানিতে সেদ্ধ করে খেতে পারেন। তাহলে আপনার ফ্যাট বা চর্বির পরিমাণ কমতে থাকবে ।এছাড়াও হাই প্রেসার ও ব্লাড সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

৫. জীবাণু ঘটিত রোগ নিরাময়ে রসুনের উপকারিতা

বিজ্ঞানীগণ গবেষণায় প্রমাণ করেছেন যে রসুনের নির্যাস মানবদেহের কৃমি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আজকাল বিভিন্ন মাউথওয়াশ তৈরি করতে রসুনের নির্যাস ব্যবহার করা হয়। নিয়মিত রসুন ব্যবহারে দাঁতের ব্যাকটেরিয়া ও বিস্তার করতে পারে না ।এটি একটি এন্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে।



৬. ক্যান্সার প্রতিরোধক

প্রতিদিন নিয়মিত রসুন রান্না করে ও কাঁচা অবস্থায় খেলে পাকস্থলী ও কোলন ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করতে রসুন বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত রসুন খেলে ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৭. হাত পা ব্যথা বা কাঁটা তুলতে রসুনের ব্যবহার

শরীরের কোন স্থানে কেটে গেলে অথবা ব্যথা পেলে ওই স্থানে রসুন ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে অতি অল্প সময়ে আপনার ব্যথা সেরে যাবে।

কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা!

শ্বাসকষ্ট কমাতে কৃমি নাশ করতে, এবং হজমে সহায়তা করে ।প্রসাবের সমস্যা শ্বাসনালী  মুক্ত করতে, এজমা রোগের উপশম, হাইপার টেনশন, কমাতে চুল পড়া, চুল পাকানো, শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে, এবং হাড়ের বিভিন্ন রোগের জন্য রসুন মহৌষধ হিসেবে কাজ করে। এটিকে ফেসওয়াশ গুণসম্পন্ন একটি ওষুধ বলা যায়।

খালি পেটে রসুন খাওয়া যাবে কিনা?

অবশ্যই আপনি খালি পেটে রসুন খেতে পারবেন। আপনি খালি পেটে রসুন খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক এর মত কাজ করে ।যক্ষা প্রতিরোধে ওষুধ হিসেবে কাজ করে এবং যকৃত মূত্রাশয় সঠিকভাবে নিজ নিজ কার্য সম্পাদন করতে পারে। এটি যক্ষ্মা ,নিউমোনিয়া ,ব্রঙ্কাইটিস ,ফুসফুসের কনজেশন, হাঁপানি ,আরো অনেক রোগ প্রতিরোধ করে। মোটকথা রসুনের রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ এবং ঔষধি গুন।

রসুন খাওয়ার অপকারিতা

যাদের রসুন খাওয়ার ফলে এলার্জি হওয়ার আশঙ্কা থাকে বা হয় তারা অবশ্যই কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এছাড়াও অনেকের আছে তাদের রসুন খাওয়ার ফলে মাথায় ব্যথা ,বমি ভাব প্রাদুর্ভাব, বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। তাদের জন্য কাঁচা রসুন না খাওয়াই ভালো।

রসুন ভর্তা উপকারিতা!

রসুন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু। বিশেষ করে খাবারের স্বাদ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। রসুন ছাড়া এতে একদিকে যেমন মসলা হিসেবে কাজ করে, অন্যদিকে রয়েছে হাজারো পুষ্টি গুণ। এটি রান্নার স্বাদ বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তবে নিয়ম করে যদি এটি খাওয়া হয় তাহলে, দেহের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবে ,দেহের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করবে, হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা দূর করবে, ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার প্রতিরোধ করবে ,যক্ষার চিকিৎসা সাহায্য করবে, ক্লোন ক্যান্সার বাধা প্রদান করবে, পিত্তথলির ক্যান্সার প্রতিরোধ করবে, এছাড়াও আরো অনেক উপকার রয়েছে।

আরো পড়ুন আমলকি সম্পর্কে

Disclaimer

তো বন্ধুরা আজকের পোস্টটি এই পর্যন্তই। আশাকরি রসুন সম্পর্কে আপনারা একটু হলেও জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ কষ্ট করে লেখা টি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।লেখাটির সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এবং নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে অবশ্যই অবগত থাকবেন ।

সুস্থ থাকুন ধন্যবাদ সবাইকে!


Post a Comment

Previous Post Next Post